সাধারণ পোশাককেও কিন্তু খুব সহজেই ডিজাইনার লুক দেওয়া সম্ভব। তবে তার জন্য বিশেষ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে৷ ফ্যাশন ট্রেন্ড ফলো রাখার পাশাপাশি মানানসই জুয়েলারি ও এক্সেসরিজ, পোশাকের অভিনবত্ব এগুলো খুব সহজেই আপনাকে ফ্যাশনিস্তা করে তুলতে পারে। তবে হ্যাঁ, আপনার পোশাকের সঙ্গে আপনার মধ্যে যেন আত্মবিশ্বাসটাও ভরপুর থাকে, তবেই আপনার স্টাইলিং পারফেক্ট হবে।
দোপাট্টা –
ধরুন আপনি এক রঙের কোন স্যুট কিংবা কুর্তি প্যান্ট সেট পরেছেন তার সঙ্গে একটি নেটের দোপাট্টা অথবা মাল্টিকালার দোপাট্টা পেয়ারআপ করতেই পারেন। এমন কিছু রঙ থাকে যেগুলো প্রায় সব রঙের সাথেই ম্যাচ করে, যেমন সাদা, কালো, লাল ইত্যাদি। মার্কেট থেকে এইসব রঙের কিছু ট্রেন্ডি দোপাট্টা কিনে রাখলে আপনি খুব সহজেই যে কোন স্যুটের সাথে সেগুলো স্টাইলআপ করতে পারবেন। এর ফলে সাধারণ পোশাকেও একটা ডিজাইনার লুক ক্রিয়েট হবে।
বেল্ট –
বেল্ট একটি সাধারণ এক্সেসরিজ হলেও স্টাইলিং এর ক্ষেত্রে বেল্ট এর চাহিদা মারাত্মক। শাড়ি, গাউন অথবা ম্যাক্সি ড্রেস ইত্যাদির সঙ্গে যদি ম্যাচিং একটা বেল্ট ক্যারি করেন তাহলে আপনার পোশাকটা আরও স্টাইলিশ হয়ে উঠবে।
অভিনব ব্লাউজ –
আপনি যদি শাড়ি পরতে পছন্দ করেন তাহলে সাধারণ ব্লাউজের পরিবর্তে কোট স্টাইলের ব্লাউজ অথবা একটু ভিন্ন ধরনের হল্টারনেক ব্লাউজ কিংবা স্টাইলিশ স্লিভলেস ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন। এতে আপনার লুকটাও একটু অন্যরকম হবে আর খুব সাধারণ শাড়িতেও ডিজাইনার লুক দেওয়া যাবে।
শ্রাগ জ্যাকেট –
জিন্স টপ এর সঙ্গে কিংবা স্লিভলেস সিম্পল ম্যাক্সি ড্রেসের উপরে আপনি যদি একটা শ্রাগ জ্যাকেট পরেন তাহলে আপনি লো বাজেট আউটফিটেও একটা নজরকাড়া লুক পেতে পারবেন। অনলাইনে খুব কম বাজেটেই বিভিন্ন ধরনের শ্রাগ পাওয়া যায়।
মানানসই জুয়েলারি ও এক্সেসরিজ –
শুধু সুন্দর পোশাক বেছে নিলেই হবে না তার সঙ্গে মানানসই জুয়েলারি ও এক্সেসরিজটাও কিন্তু ভীষণ জরুরি। আপনার সংগ্রহে অবশ্যই একটি সাদা এবং কালো রঙের ব্যাগ এবং কালো রঙের জুতো রাখবেন।