ঘরের পরিবেশ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, কিছু সহজ টিপস অনুসরণ করে ঘরে শান্তি ও সুখ আনা সম্ভব।
ঘর পরিষ্কার রাখা
- দৈনিক পরিষ্কার: ধুলোবালি, নোংরা ঘরের শক্তিকে নেতিবাচক করে তোলে। প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করা উচিত।
- ব্যবহার করা জিনিস: ভাঙাচুরা জিনিস বা যা ব্যবহার করা হয় না, তা ঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন। ঘরে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা উচিত।
- হালকা রং: দেয়ালের রং হালকা রাখলে মন প্রশান্ত থাকে।
গাছপালা
- হরিদ্রা: বাড়িতে হরিদ্রা গাছ রাখলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।
- তুলসী: তুলসী গাছ ধর্মীয়ভাবেও পবিত্র এবং বাড়িতে শান্তি বজায় রাখে।
দিক নির্দেশ
- মূল দরজা: মূল দরজা সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
- পূর্ব দিক: পূর্ব দিকে সূর্যের আলো ঢুকতে দিন।
- দক্ষিণ-পশ্চিম: এই দিকে ভারী জিনিসপত্র রাখা উচিত নয়।
- টাকা-পয়সা রাখা আলমারির দরজা উত্তর দিকে হওয়া উচিত।
- ভারী জিনিসগুলি বাড়ির দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে রাখা উচিত।
অন্যান্য টিপস
- আয়না: আয়না কখনোই দরজার সামনে রাখবেন না।
- শঙ্খ: শঙ্খে জল ভরে রাখলে ঘরে শান্তি বজায় থাকে।
- ধনতেরাস: ধনতেরাসের দিনে বাড়িতে লক্ষ্মী পূজা করুন।
বাস্তু মতে কোন দিকে কোন ঘর করা উচিত?
বাস্তু অনুসারে বসার ঘরের অবস্থানের জন্য সর্বোত্তম দিক হল উত্তর-পূর্ব, উত্তর বা পূর্ব দিকে, কারণ এই নির্দেশগুলি থাকার জায়গার মধ্যে শক্তি প্রবাহের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, বসার ঘরটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখা এড়িয়ে চলুন, যা অশুভ শক্তি নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়।
বাস্তুশাস্ত্র মতে ঠাকুর ঘর কোন দিকে হওয়া উচিত?
উত্তর-পূর্ব দিকটি ঠাকুর ঘরের জন্য সর্বোত্তম দিক হিসাবে বিবেচিত হয় কারণ এটিকে ভগবান শিবের অঞ্চল বলা হয় এবং তাই এটি সবচেয়ে শুভ। এর পরে আসে পূর্ব বা উত্তর দিক। ঠাকুর ঘরের জন্য দক্ষিণ দিকে মুখ করা বাস্তু অশুভ বলে মনে করা হয়।