রিযিক বৃদ্ধির দোয়া, Dua for Economic growth in Bengali

রিযিক বৃদ্ধির দোয়া

মহান আল্লাহ সকলের প্রতি অনেক দয়াশীল। মানুষের প্রতি দয়া করে আল্লাহ কিছু আমলের বরকতে রিজিক বাড়িয়ে দেন। কুরআন-সুন্নাহর ঘোষণায় রিজিক বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি আমল আছে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা সেই রিযিক বৃদ্ধির দোয়া নিয়ে আলোচনা করবো।

রিজিক বৃদ্ধির দোয়াগুলো জেনে নিন , Various Doa for economic ( Rizik) growth

মানুষের জন্য বরকত একটি জরুরি বিষয়। এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা কঠোর পরিশ্রম করেন কিন্তু প্রাপ্তি সেভাবে আসে না অর্থাৎ কাজে কোনো বরকত নেই। আবার অনেকে দীর্ঘ হায়াত পেয়েছেন, সে হিসেবে ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি কিংবা আমল-ইবাদতেও বরকত নেই। অন্যদিকে এমনও বহু মানুষ আছেন, যারা কম হায়াত পেলেও তারা ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্তুতি, আমল-ইবাদতে বরকত লাভ করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে এমনও দেখা যায় যে, অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে এবং অল্প বেতনে চাকরি করার পরও তার রিজিকের অভাব নেই। তাদের পরিবারে আছে অফুরন্ত বরকত। রিজিক বৃদ্ধির কিছু নির্দিষ্ট তথা গুরুত্বপূর্ণ দোয়া আছে, সেগুলি হল :

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

১. তাওবাহ-ইসতেগফার :

হরজত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘যারা বেশি বেশি তাওবাহ-ইসতেগফার করে; তাদের সামনে যত সংকটই (অভাব) থাকুক না কেন, মহান আল্লাহ তাআলা তা সমাধান করে দেন।’ (মুসতাদরেকে হাকেম)

আরবী দোয়া : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।‘

অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।

رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

আরবী দোয়া : ‘রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।’

অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।’আরবী দোয়া : ‘আস্‌তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’অর্থ : ‘আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।’

২. আল্লাহর রাস্তায় দান করা :

আত্মীয়দের পাশাপাশি প্রতিবেশী ও গরিব অসহায় এবং আল্লাহর রাস্তায় দানের মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি হয়। যারা আল্লাহর নামে দান করে, আল্লাহ তাআলা তাদের বেশুমার রিজিক দান করেন। মহান আল্লাহ তাআলা কুরআন কারিমে ঘোষণা করেন-

قُلۡ اِنَّ رَبِّیۡ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِهٖ وَ یَقۡدِرُ لَهٗ ؕ وَ مَاۤ اَنۡفَقۡتُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ فَهُوَ یُخۡلِفُهٗ ۚ وَ هُوَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ‘

(হে রাসুল! আপনি)বলুন, নিশ্চয়ই আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন, আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিজিকতা।’ (সুরা সাবা : আয়াত ৩৯)

৩. তাকওয়ার ওপর অটল থাকা :

আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। আল্লাহকে ভয় করলে চলবেনা, বরং বান্দার প্রতি বরকত বা কল্যাণ দান করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَ مَنۡ یَّتَّقِ اللّٰهَ یَجۡعَلۡ لَّهٗ مَخۡرَجًا  – وَّ یَرۡزُقۡهُ مِنۡ حَیۡثُ لَا یَحۡتَسِبُ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰهِ فَهُوَ حَسۡبُهٗ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بَالِغُ اَمۡرِهٖ ؕ قَدۡ جَعَلَ اللّٰهُ لِکُلِّ شَیۡءٍ قَدۡرًا

 বাংলা অর্থ : ‘আর যে কেউ আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন। আর তাকে তার ধারণাতীত উৎস হতে রুযী দান করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর নির্ভর করবে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট হবেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পূরণ করবেনই। আল্লাহ সবকিছুর জন্য স্থির করেছেন নির্দিষ্ট মাত্রা।’ (সুরা তালাক : আয়াত ২-৩)

وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُواْ وَاتَّقَواْ لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاء وَالأَرْضِ وَلَـكِن كَذَّبُواْ فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُواْ يَكْسِبُونَ

বাংলা অর্থ : ‘আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেযগারী অবলম্বন (তাকে ভয়) করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানি ও দুনিয়ার নেয়ামতসমূহ উম্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি তাদের কৃতকর্মের বদলাতে।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ৯৬)

রিজিক বৃদ্ধির কিছু নির্দিষ্ট তথা গুরুত্বপূর্ণ দোয়া আছে

৪. আত্মীয়-পরিজনের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখা :

আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে বরকত ও কল্যাণ নেমে আসে। আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক রাখা নিয়ে হাদিসে বলা হয়েছে-

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কামনা করে যে, তার রিজিক বাড়াতে চায় বা প্রশস্ত করতে চায়; তার হায়াত বা আয়ুকে দীর্ঘ করতে সে যেন আত্মীয়-স্বজন, পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

৫. ওমরাহ করা :

যারা নিজের জীবন থেকে অভাব কমাতে চায়, গোনাহ ও পাপ কম করতে চায় তাদের বার বার ওমরাহ করা জরুরি। হাদিসে বলা হয়েছে-হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

‘যে ব্যক্তি ওমরাহ করে; ওমরাহ তার গোনাহ, তার অভাব অনেক দূরে পাঠিয়ে দেয়।’ (তিরমিজি)

৬. বিবাহ করা :

রিজিক বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে কার্যকরী আমল হল বিয়ে করা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি অবিবাহিত তারা নেক নিয়তে যদি বিয়ে করে তবে মহান আল্লাহ তাদের জীবন থেকে অভাব দূর করে দেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَأَنكِحُوا الْأَيَامَى مِنكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِن يَكُونُوا فُقَرَاء يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ

অর্থাৎ ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩২)

৭. আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা :

জীবনে অভাব থেকে মুক্ত থাকতে তথা রিজিকে বরকত পেতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। কোনো বিষয়ে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা নিয়ে মহান আল্লাহ বলেছেন-

وَ قَالَ رَبُّکُمُ ادۡعُوۡنِیۡۤ اَسۡتَجِبۡ لَکُمۡ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ عَنۡ عِبَادَتِیۡ سَیَدۡخُلُوۡنَ جَهَنَّمَ دٰخِرِیۡنَ

অর্থাৎ ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা অহংকারে আমার উপাসনায় বিমুখ, ওরা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা গাফির/মুমিনুন : আয়াত ৬০)

৮. অসহায়দের প্রতি সদয় আচরণ রাখা এবং দান করা :

অসহায়দের প্রতি সদয় আচরণ

মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে দান ও সদাচরণে রিজিক বাড়ে। তাই রিজিক বাড়াতে অসহায়দের প্রতি সদয় আচরণ করা উচিত। যারা অভাবে ভুগছেন তাদের প্রতি দয়া করলে আল্লাহ সেই ব্যক্তির রিজিক বাড়িয়ে দেন।

হাদিসে বলা হয়েছে-প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসাহয়ের প্রতি দান ও সদাচরণে এ তাগিদ দিয়েছেন, তিনি বলেন-

‘দান করার কিছু যদি না থাকে তবে একটি খেজুরের অংশ দিয়ে হলেও দান করার মাধ্যমে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা কর।’

৯. নিজেকে ইবাদতের জন্য ব্যস্ত রাখা

নামাজে মনোযোগী হওয়া জরুরী। প্র্যত্যেক ওয়াক্তর নামাজ সঠিকভাবে পড়তে হবে, পাশাপাশি পরিবারের লোকদের নামাজ পড়ানোর ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে হবে।

আল্লাহ এ নিয়ে বলেছেন :وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَّحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَى

অর্থাৎ ‘আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমি আপনাকে রিজিক দেই এবং আল্লাহকে ভয় করার পরিণাম শুভ তথা কল্যাণকার।’ (সুরা ত্বাহা : আয়াত ১৩২)

১০. কোনো কাজ শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ বলা

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

“তোমাদের মধ্যে কেউ যখন খাবার খায় আর যদি বিসমিল্লাহ বলে; তবে শয়তান ওই খাবারে অংশ নিতে পারে না। যেটুতু খাবার আছে তা (পরিমাণে কম হলেও) তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।”

তিনি আরো বলেন, “ কেউ যদি ঘরে প্রবেশ করার সময় বিসমিল্লাহ বলে তখনও শয়তান তার সঙ্গে বাসায় ঢুকতে পারে না। এভাবে বান্দা যখন সব কাজ বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে, তখন শয়তান সব কাজ থেকে মাহরুম হয়। আর আল্লাহ তাআলা সব কাজেই বরকত দান করেন। “

১১. কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো

কুরআন তেলাওয়াত, অধ্যয়ন এবং কুরআন অনুযায়ী জীবন গড়ার মাধ্যমে রিযিক বৃদ্ধি হয়। ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী, যে যতবেশি কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াবে তার জন্য ততবেশি বরকত নেমে আসবে।

আল্লাহ তাআলা একাধিক আয়াতে বলেন- وَهَـذَا كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ فَاتَّبِعُوهُ وَاتَّقُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

অর্থাৎ ‘এটি এমন একটি কিতাব, যা আমি অবতীর্ণ করেছি, খুব মঙ্গলময়, অতএব, এর অনুসরণ কর এবং ভয় কর; যাতে তোমরা করুণাপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১৫৫)

وَهَـذَا كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ مُّصَدِّقُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالآخِرَةِ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَهُمْ عَلَى صَلاَتِهِمْ يُحَافِظُونَ

অর্থাৎ ‘এ কুরআন এমন কিতাব, যা আমি নাজিল করেছি; বরকতময়, আগের গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। যারা পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তার স্বীয় নামাজ সংরক্ষণ করে।’ (সুরা আনআম: আয়াত ৯২)

১২. সকালবেলা থেকেই কাজ শুরু করা

অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য না হলেও নিজ ঘরের কাজ দিয়ে সকালে কাজ শুরু করতে পারেন। বিশ্বাস করা হয় যে সকালবেলার কাজে আল্লাহ তাআলা বরকত দান করেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করেছেন-

اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে সকালবেলা বরকত দান করবেন।

১৩. আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করা

আল্লাহর ওপর ভরসা করা হল বরকত লাভের অন্যতম চাবি বা আমল। আল্লাহর ওপর যত বেশি ভরসা করবে আল্লাহ মুমিনকে ততবেশি সাহায্য করবেন।

হাদিসে বর্ণিত-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘আল্লাহর প্রতি যেরকম ভরসা বা আস্থা রাখা দরকার, তোমরা যদি সেই মাপের আস্থা রাখতে পার, তাহলে আল্লাহ তাআলা পাখিকে যেভাবে রিজিক দেন তোমাদেরও সেভাবে রিজিক দেবেন।’

১৪. সালামের প্রচলন করা :

আল্লাহর উদ্দেশ্যে হিজরত করা

বিশুদ্ধ সালামের ব্যাপক প্রচলন করা বরকত লাভের অন্যতম মাধ্যম।

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَ رَحْمَةُ اللهِ وَ بَرَكَاتُهُ

উচ্চারণ : ‘আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।’

বাংলা অর্থ : ‘আপনার উপর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।’

উক্ত দোয়াটি শান্তি, রহমত ও বরকতের দোয়া।

সালামের উত্তরদানকারী ব্যক্তিও একই দোয়া করেন- ‘আপনার ওপরও শান্তি, রহমত ও বরকত নাজিল হোক।’

১৫. আল্লাহর উদ্দেশ্যে হিজরত করা

আল্লাহ তাআলায় নেয়ামত অনুসন্ধানে হিজরত বা দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করার মাধ্যমেই রিযিক বৃদ্ধি হয়। এতে মহান আল্লাহ বান্দার সব অভাব দূর করে দেন এবং রিজিকে বরকত দেবেন।

শেষ কথা : Conclusion

রিজিক বৃদ্ধি করতে চাইলে আল্লাহর ইবাদতকে প্রাধান্য দিতে হবে। ব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে আল্লাহর ইবাদতে নিজকে সঁপে দিতে হবে। নিজেদের ঈমানকে হেফাজত করতে হবে। হারাম থেকে দূরে থাকতে হবে। আল্লাহকে ভয় করতে হবে। তবেই আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য আসমানি ও জমিনের সব রিজিকে বরকতের দুয়ার খুলে দেবেন।

RIma Sinha

Rima Sinha is working as a writer and also as a journalist. she got her bachelor of arts degree from Tripura University. She has also completed Master of Arts in Journalism and mass communication from Chandigarh University.

Recent Posts