দুরূদ শরীফ হল সকলের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা দেখানোর একটি সুন্দর উপায়। এটি যে কোনো সময় আবৃত্তি করা যেতে পারে, তবে বিশেষভাবে সুপারিশ করা হয় যখন কেউ আল্লাহর আশীর্বাদ পেতে চায়
মুসলমানদের মধ্যে দুরুদ শরীফ নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে গণ্য হয়। তাই ভালো করে দুরুদ শরীফ পাঠ করা ও শিখে নেওয়া উচিত। সকলেই চেষ্টা করতে হবে দুরুদ শরীফ সহিহ শুদ্ধভাবে মুখস্ত করা। এর কারণ হল নামাজ ভালো করে পড়তে হলে দুরুদ গুরুত্ব অপরিসীম। হযরত মুহাম্মাদের নাম উচ্চারণের সময় সর্বদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম্ বলা হয়, যার অর্থ: “তার উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক।” এটিও একটি দুরুদ।
দুরুদ শব্দের অর্থ কি? What is the meaning of Durood?
صَلَاة, ṣalāh) বা দুরূদ (উর্দু: دُرُوْد) একটি ইসলামিক প্রশংসাসূচক আরবি বাক্যাংশ যাতে মুহাম্মদের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। এই বাক্যাংশটি সাধারণত মুসলমানরা তাদের দৈনিক পাঁচটি নামাজের অংশ হিসেবে প্রকাশ করে (সাধারণত তাশাহহুদের সময়) এবং যখন মুহাম্মদের নাম উল্লেখ করা হয়।
দুরুদ শরীফ এর অর্থ কি? What is the meaning of Durood Sharif?
বৃহত্তর অর্থে মুহাম্মদের প্রতি এবং তার পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি এবং সহচরদের প্রতি আল্লাহর দয়া ও শান্তিবর্ষণের জন্য প্রার্থনা করাই দুরুদ। দুরুদকে প্রায়ই সম্মানসূচকভাবে ইসলামি পরিভাষায় “দুরুদ শরিফ”-ও বলা হয়ে থাকে। আরবিতে একে সালাওয়াত বলা হয় (আরবি: صَلَوَات, ṣalawāt, একবচন সালাত)।
দুরুদ শরীফ কিভাবে পড়বো? How to recite Durood Sharif?
কোনও বৈঠক বা মসলিস থেকে উঠার আগে দরুদ শরীফ পড়ে তারপর উঠা উচিত। >> আজানের পর দোয়া পড়ার আগে প্রথমে দরুদ শরীফ পড়ে এরপর আজানের জন্য নির্ধারিত দোয়াটি পড়া উচিত। >> মদিনার মসজিদে নববীতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা জিয়ারতের সময় দরুদ শরীফ পড়তে হবে।
দুরুদ শরীফের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, Importance of Durood Sharif
শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার আখেরী রাসূল। রাসূল ইরশাদ করেন “যে (ব্যক্তি) আঁমার উপর এক বার দুরুদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন, আর যে আঁমার উপর দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহ্ তা আলা তার প্রতি একশত রহমত নাযিল করেন।”
এর থেকেই বোঝা যায় যে দুরুদ শরীফ এর গুরুত্ব কতটুকু। এর ফজিলত নিয়ে কথা বলতে গেলে হয়তো শেষ করা যাবে না। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনাদর্শ বাস্তবায়ন করে তার উপর দুরুদ পাঠ করলে অনেক নেকি পাওয়া যায়। ইসলাম ধর্মে দুরুদ শরীফ গোটা জীবনে একবার হলেও পাঠ করা ফরজ। বলতে গেলে যেখানেই মহানবীর নাম আসে, সেখানে একবার দুরুদ শরীফ পাঠ করা ওয়াজিব। নামাযের অভ্যন্তরে ‘আত্তাহিয়্যাতু’-এর পর এই দুরূদ শরীফ পাঠ করা ‘সুন্নাত’ বলে মনে করেন মুসলমানরা।
মহান আল্লাহ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
অর্থাৎ নিশ্চয় আল্লাহ নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফিরিশতাগণও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। হে বিশ্বাসীগণ! তোমরাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা কর এবং তাকে উত্তমরূপে অভিবাদন কর। (সালাত ও সালাম পেশ কর) (সূরা আহযাব আয়াত নং ৫৬)
ইসলাম ধর্মে তাশাহ্হুদের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পাঠ করতে হয়। তাই প্রতি মুসলমানেরই উচিত দুরুদ শরীফ ভালো করে শিখে নেওয়া। বিশ্বাস করা হয় যে দুরুদ শরীফ পাঠ ছাড়া সালাত হয় না। তাই দুরুদ শরীফ জেনে বুঝে পাঠ ও মুখস্ত করা উচিত, যাতে নিজেও সঠিক ভাবে শিখে নেওয়া যায় এবং অন্যকেও এই দুরুদ শরীফ শিখিয়ে দেওয়া যায়।
দরুদ শরীফ পাঠ, Durood Sharif recitation
মুসলমানগণ মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য দোয়া করতে এবং গুনাহ মাফের জন্য দোয়া চাইতে দরুদ শরীফ পাঠ করে থাকেন; কারণ, মহান আল্লাহর দরবারে মুক্তি ও মাফ চেয়ে মুনাজাত ধরলে, দোয়া করলে তা দরুদ শরীফ পাঠের উসিলায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের প্রতি রহমত ও সালাম পেশের দরুণ সেই দোয়া কবুল হয়ে যায়।
দরুদ শরীফ আরবি : Durood Sharif Arabic
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ , Pronunciation of Durood Sharif
আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ)
বাংলা অর্থ, Bengali meaning
হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমকে ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের ওপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের ওপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহা-মহিমান্বিত।
হাদিসে দুরুদ শরীফ এর বর্ণনা, Description of Durood Sharif in Hadith
আবু আমামাহ কর্তৃক একটি হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে যে মুহাম্মাদ (সা.) বলেন: “প্রতি শুক্রবার আমার উপর আরও দুরুদ পাঠ করুন, আমার উম্মতদের (অনুসারী) কাছে থেকে দুরুদ প্রতি শুক্রবার আমার কাছে পেশ করা হয়। যে ব্যক্তি আমার প্রতি বেশি দুরুদ পাঠ করেছে সে আমার তত বেশি নিকটবর্তী হবে।”
এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, মুহাম্মাদ বলেন: “সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি সে যে তার উপস্থিতিতে আমার নাম উল্লেখ করার সময় আমার নামে দুরুদ পাঠ করে না।”
আল-হাসান বিন আলী থেকে ইবনে আসাকরি বর্ণনা করেছেন, মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন: “আমার উপর আরও দুরুদ পাঠ করো, কারণ তোমার প্রার্থনা তোমার পাপ ক্ষমা হওয়ার পক্ষে উপযুক্ত এবং আমার জন্য উচ্চ মর্যাদা ও সুপারিশ প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই আমার সুপারিশ আল্লাহর নিকট তোমার পক্ষে প্রার্থনা করবে।”
মুহাম্মাদ থেকে জাফর আল-সাদিক বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: “আল্লাহর নিকট সমস্ত প্রার্থনা আকাশ থেকে আবরিত থাকবে যতক্ষণ না মুহাম্মাদ (সা.) ও তার পরিবার-পরিজনের নিকট দুরুদ না পাঠানো হয় (অর্থাৎ তাঁদের নামে দুরুদ না পাঠ করা হয়)।”
একটি হাদীসে জাফর আল-সাদিকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে: “যে ব্যক্তি নবি ও তার পরিবার-পরিজনের উপর দুরুদ পাঠ করে তার অর্থ ‘আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা নিয়ে আমি দাঁড়িয়ে আছি যখন আল্লাহ আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, “আমি কি তোমার প্রভু নই?” এবং আমি উত্তর দিয়েছি, “হ্যাঁ আপনি তাই।”
আবদুর রহমান ইবনে আবি লায়লা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: “কা’ব ইবনে আজরা আমার সাথে দেখা করে বললেন, “আমি কি তোমাকে একটি উপহার দেবো না?” নবী করিম (স.) বের হয়ে আমাদের কাছে এলেন এবং আমরা বললাম, “হে আল্লাহর রাসুল, আমরা আপনাকে সালাম দিতে জানি, তাহলে আমরা কীভাবে আপনার জন্য অভিবাদন পেশ করতে পারি?” তিনি বললেন, “হে আল্লাহ, মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের প্রতি শান্তি প্রেরণ করুন যেভাবে আপনি ইব্রাহিম ও ইব্রাহিমের পরিবারের প্রতি শান্তি প্রেরণ করেছিলেন। নিঃসন্দেহে আপনি সর্বাপেক্ষা প্রশংসিত, সর্বোত্তম।”
মুহাম্মাদ (সা.) বলেন: “আমার উপর অসম্পূর্ণ দুরুদ পাঠ করবে না”। তার সাহাবারা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন: “অসম্পূর্ণ দুরুদ কী?” জবাবে তিনি তাঁদের বললেন: “তোমরা যখন বলবে: ‘হে আল্লাহ! মুহাম্মাদের প্রতি আশীর্বাদ প্রেরণ করুন’ এবং তারপরেই থেমে যাও। তার চেয়ে বরং বলো: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ‘হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের বংশধরদের প্রতি আপনার আশীর্বাদ প্রেরণ করুন’
ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী দুরুদ পাঠের উপকারিতা, Benefits of reciting Durood according to Islamic beliefs
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন যে,
যে সকল ব্যক্তি মুহাম্মাদ ও তার পরিবারের উপর ১০ বার দুরুদ পাঠ করে, আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণ সেই ব্যক্তির উপর ১,০০০ সালাওয়াত পাঠ করেন। পাশাপাশি যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ ও তার পরিবার-পরিজনের উপরে ১,০০০ সালাওত পাঠ করে থাকেন, তাকে জাহান্নামের আগুনও কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
- দুরুদ পাঠ বিচারের দিন মুহাম্মাদ ও তার বংশধরের প্রতি তার সুপারিশের পথ প্রশস্ত করে।
- মুহাম্মাদ ও তার বংশধরকে দুরুদ প্রেরণ যেকোনো পাপের ক্ষতিপূরণ হিসাবে কাজ করে।
- কর্মের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী কাজ মুহাম্মাদ ও তার পরিবারের প্রতি দুরুদ পাঠ করা।
- মুহাম্মদ (সা.) ও তার পরিবারের প্রতি দুরুদ পাঠ করা ব্যক্তিকে আল্লাহ ও তার রাসুলের স্নেহের দিকে পরিচালিত করে।
- মুহাম্মাদ ও তার পরিবারের উপর দুরুদ বান্দার কাজকে বিশুদ্ধ করে।
- মুহাম্মাদ ও তার পরিবারবর্গের উপর দুরুদ ব্যক্তির কবরের জ্যোতি, পুল সিরাত ও জান্নাতের কাজ করবে।
- দুরুদ পাঠ ব্যক্তির হৃদয়কে হালকা করে এবং উন্মুক্ত করে দেয়।
- দুরুদ হল প্রতি শুক্রবারের অন্যতম সেরা আমল।
- প্রতিনিয়ত দুরুদ পাঠ করলে ব্যক্তির পার্থিব ও স্বর্গীয় ইচ্ছা পূরণ করে।
দোয়া মাসুরা কখন পড়তে হবে? When to read Dua Sura?
নামাজের শেষ বৈঠকে দোয়া মাসুরা পড়া হয়। এর একটিতে কবরের আজাব ও দাজ্জালের ফেতনা থেকে পানাহ চাওয়া হয়। হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) এর বরাতে হাদিসটি পাওয়া যায়।
অযু ছাড়া দুরুদ পড়া যাবে কি? Oju chhara durood ki pora jabe ?
অজু থাকা না-থাকার সঙ্গে দরুদ শরিফ পাঠের কোনো সম্পর্ক নেই। অজু না থাকার অজুহাতে দরুদ শরিফ পাঠ থেকে বিরত থাকা ঠিক নয়। বাসায়, অফিসে, পরিবহনে, অবসরে যেকোনো অবস্থায় বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করলে অনেক কল্যাণের অধিকারী হওয়া যায়।
দুরূদে ইব্রাহিম কোনটি? What is meant by Durood-E- Ibrahim?
দুরূদ-ই-ইবরাহীম হল সালাতে পাঠ করা দুরূদ। এটিকে দুরূদ-ই-ইবরাহীম বলা হয় কারণ দুরূদে হযরত ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর উল্লেখ রয়েছে।
দুরুদ শরীফ কোন সূরা? Which Sura is Durood Sharif?
না, দরূদ-ই ইব্রাহিম কুরআনের কোনো নির্দিষ্ট সূরার (অধ্যায়) অংশ নয় । দরূদ-ই ইব্রাহিম হল একটি নির্দিষ্ট ইসলামিক প্রার্থনা যা ঐতিহ্যগতভাবে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য আশীর্বাদ ও প্রশংসার একটি রূপ হিসেবে পাঠ করা হয়।
দুরুদ শরীফ পাঠের ফজিলত কি? Durood Sharif Fazilat
যে কোন মুসলমান দরূদ শরীফ পাঠ করলে দশটি নেকী দেওয়া হয়, দশটি গুনাহ মাফ করা হয় এবং আল্লাহ তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন । যারা দিনে বহুবার পাঠ করবে তারা বিচারের দিন মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নিকটবর্তী হবে।
কোন কোন অবস্থায় দরূদ পড়া জায়েজ নয়? When one should not recite Durood Sharif ?
কয়েকটি অবস্থায় রাসূল সাঃ এর নাম শুনেও দরূদ পড়া যাবে না। যথা-
- ১-সহবাসের সময়।
- ২-পেশাব বা পায়খানার সময়।
- ৩- হাঁচির সময়।
- ৪- প্রাণী জবাই করার সময়।
- ৫-কুরআন তিলাওয়াতের মাঝে রাসূল সাঃ এর নাম এলেও দরূদ পড়বে না।
প্রথমোক্ত ৩ অবস্থায় দরূদ পড়া নিষিদ্ধ কারণ এতে করে দরূদের অপমান হয়। আর ৪র্থ অবস্থায় দরূদ পড়লে শিরকের সম্ভাবনা থাকায় দরূদ পড়া নিষিদ্ধ।
আর ৫ম অবস্থায় পড়া লাগবে না কারণ এতে করে কুরআন তিলাওয়াতের অপমান হয়। এমন সব অপমানজক অবস্থায় দরূদ পড়া নিষিদ্ধ। আরো যেসব স্থানে দরূদ পড়লে দরূদের অপমান হয়, বা শিরকের সম্ভাবনা থাকে সেসব স্থানে দরূদ পড়া নিষিদ্ধ।
সবচেয়ে ছোট দুরুদ শরীফ কোনটি? Which is the smallest Durood Sharif ?
দুরূদে শিফার ফযীলত এ দুরূদ বাক্যের দিক দিয়ে খুবই ছোট কিন্তু ফযীলতের দিক দিয়ে সাফল্যের চাবিকাঠী |
শেষ কথা, Conclusion
দুরুদ শরিফ মূলত একটি সম্ভাষণ যা মুসলমানরা নির্দিষ্ট বাক্যাংশ পড়ে ইসলামের শেষ পয়গম্বর মুহাম্মদের শান্তির প্রার্থনা উদ্দেশ্যে পাঠ করে থাকে। বৃহত্তর অর্থে মুহাম্মদের প্রতি এবং তার পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি এবং সহচরদের প্রতি আল্লাহর দয়া ও শান্তিবর্ষণের জন্য প্রার্থনা করাই দুরুদ।