তাহাজ্জুদ হল ইসলাম ধর্মে ঐচ্ছিক রাতের নামাজ। তাহাজ্জুদ রাতের নামাজ বা কিয়ামুল লাইল নামেও পরিচিত ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি তাদের একটি ঐচ্ছিক ইবাদত। তবে এটা মুসলমানদের বাধ্যতামূলক পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের অন্তর্ভুক্ত নয়। ইসলামের নবী মুহাম্মদ(সঃ) নাকি নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতেন, পাশাপাশি নিজের সাহাবীদের এটা পালনে উৎসাহিত করতেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময়, Tahajjud namaz timings
তাহাজ্জুদের মূল সময় মুলত রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত থাকে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে। এটা তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯)। ইশার নামাজ আদায় করার পর থেকে সুবহে সাদেকের আগ পর্যন্ত সালাতুল লাইল বা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যায়। তবে কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী অর্ধ রাতের পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ভালো। শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম। তবে তাহাজ্জুদ নামাজের কোনো কাজা নেই।
আল কুরআনে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার গুরুত্ব, Importance of Tahajjud Namaz in Al Quran
- (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ১৭-১৮) তে উল্লেখ আছে যে, “তারা রাতের সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করে এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে।”
- আল কুরআনের সূরা আল মুজাম্মিল এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, “অবশ্য রাতে ঘুম থেকে উঠা মনকে দমিত করার জন্য খুব বেশি কার্যকর এবং সে সময়ের কুরআন পাঠ বা জিকর একেবারে যথার্থ।”
- সূরা আল ফুরকান-এর ৬৪ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের রবের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।”
- সূরা আল ইমরান : আয়াত ১৭ তে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “তারা ছিল কঠিন পরীক্ষায় পরম ধৈর্যশীল, অটল-অবিচল, সত্যের অনুসারী, পরম অনুগত। আল্লাহর পথে ধন-সম্পদ উৎসর্গকারী এবং রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে ভুলত্রুটির ক্ষমাপ্রার্থী”।
- আব্দুল্লাহ ইবনে আবী কাইস বলেন, ‘আমি হজরত আয়েশা রা.-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবীজী বিতরে কত রাকাত পড়তেন? উত্তরে তিনি বলেন, চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন। তিনি বিতরে সাত রাকাতের কম এবং তের রাকাতের অধিক পড়তেন না। -(সুনানে আবু দাউদ ১/১৯৩, হাদীস ১৩৫৭ (১৩৬২); তহাবী শরীফ ১/১৩৯; মুসনাদে আহমদ ৬/১৪৯, হাদীস ২৫১৫৯)
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, Tahajjud Namaz niyat
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ – اَللهُ اَكْبَر
এর বাংলা অর্থ হল : ‘দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি..’ অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক লম্বা কেরাত পড়তেন। অতঃপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু, সেজদা আদায় করা। এভাবেই দ্বিতীয় রাকাআত আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
তাহাজ্জুদ নামাজে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যে দোয়া পড়তেন, The prayer that Rasulullah used to recite in Tahajjud Namaz
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গভীর রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন এবং এই নামাজ আদায়ের জন্য রাতে ওঠে তিনি কুরআনের আয়াতসহ সুরা আল-ইমরানের শেষ পর্যন্ত পড়তেন। – (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ – رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ – رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ
- উচ্চারণ: রাব্বানা মা খালাক্বতা হাজা বাত্বিলান, সুবহানাকা ফাক্বিনা ‘আজাবান্নার। রাব্বানা ইন্নাকা মাং তুদখিলিন্নারা ফাক্বাদ্ আখঝাইতাহু, ওয়া মা লিজজ্বালিমিনা মিন্ আংছার। রাব্বানা ইন্নানা সামি’না মুনাদিআই ইউনাদি লিল ইমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম ফাআমান্না; রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফ্ফির আন্না সাইয়্যেআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআ’ল আবরার।’
- এর বাংলা অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। পবিত্রতা তোমারই জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহানড়বামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহানড়বামে নিক্ষেপ কর তাকে অপমানিত কর। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সকল গোনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সকল দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও।’
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু তে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশে দাঁড়াতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন:-
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ،
وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ،
وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ـ أَوْ لاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
- উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না ওয়া লাকালহামদু। লাকা মুলকুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না। ওয়া লাকাল হামদু আংতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়া লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু। ওয়া ওয়া’দুকাল হাক্কু। ওয়া লিক্বাউকা হাক্কু। ওয়াল ঝান্নাতু হাক্কু। ওয়ান নারু হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্কু। ওয়া মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হাক্কু। ওয়াস সাআতু হাক্কু। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু। ওয়াবিকা আমাংতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু। ওয়া ইলাইকা আনাবতু। ওয়া বিকা খাসামতু। ওয়া ইলাইকা হাকামতু। ফাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয়া মা আখ্খারতু। ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ’লাংতু। আংতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখ্খিরু। লা ইলাহা ইল্লা আংতা। লা ইলাহা গাইরুকা।’ (বুখারি)
- এর বাংলা অর্থ : ‘হে আল্লাহ! সব প্রশংসা আপনারই, আপনিই আসমান-জমিন ও উভয়ের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর নিয়ামক এবং আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আসমান-জমিন এবং এর মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আপনিই চির সত্য। আপনার বাণী সত্য। আপনার জান্নাত সত্য। আপনার জাহান্নাম সত্য। আপনার (প্রেরিত) নবিগণ সত্য। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য, কেয়ামত সত্য।
- হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আমি আত্মসমর্পণ করলাম, আপনার ওপর ঈমান আনলাম, আপনার ওপরই ভরসা করলাম, আপনার দিকেই রুজু করলাম, আপনার (সন্তুষ্টির জন্যই) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার আগের-পরের প্রকাশ্য ও গোপন সব পাপ/অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনিই শুরু এবং আপনিই শেষ মালিক। আপনি ব্যতিত (ইবাদতের উপযুক্ত) অন্য কেউ নেই।’
হাদীসে তাহাজ্জুদ সালাত এর বর্ণনা, Description of Tahajjud Salat in Hadith
আলেমদের মতে, তাহাজ্জুদ নামাজের বিধান সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদা বা নফল। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ নামাজ চার, ছয়, আট, ১০ রাকাত প্রমাণিত। এর থেকে বেশি বা কম পড়াতেও কোন সমস্যা নেই। যেহেতু নফল, তাই যত ইচ্ছা পড়া যায়।
আবু হুরাইরা তে বর্ণিত যে, “আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।”
অপর এক হাদিসে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, “আল্লাহ প্রতি রাতেই নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে। তিনি তখন বলতে থাকেন- কে আছো যে আমায় ডাকবে, আর আমি তার ডাকে সাড়া দেবো? কে আছো যে আমার কাছে কিছু চাইবে, আর আমি তাকে তা দান করব? কে আছো যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করব? “ (বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামকে বিশেষভাবে রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সুরা মুজাম্মিল : আয়াত ১-২ এর বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ তাআলা বলেন-‘হে চাদর আবৃত, রাতের সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া।’
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ইসলামের প্রাথমিক যুগে ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেন। কুরআনের বিভিন্ন সুরায় এ নামাজের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ি, তাবে-তাবেয়িসহ সব যুগের ওলি ও বিদ্বানরা তাহাজ্জুদ নামাজে রাত কাটিয়ে দিয়েছেন।
তাহাজ্জুদ পড়লে কি রোগ ভালো হয়?
যেহেতু তাহাজ্জুদ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের একটি কাজ, তাই বিশ্বাসী প্রভুর প্রতি যে সম্পূর্ণ নিঃশর্ত বিশ্বাস রাখে এবং প্রার্থনা কবুল করার জন্য অনুরোধ করে তার অসুস্থতার অবস্থা থেকে তাকে ক্ষমা করে দেয়।
তাহাজ্জুদে কোন সূরা পড়তে হয়?
প্রথম রাকাতে আল-ফাতিহা পড়ার পরে, সূরা “আল-কাফিরুন” পাঠ করুন।দ্বিতীয় রাকাতে আল-ফাতিহা পড়ার পর সূরা “আল-ইখলাস” পাঠ করুন।
তাহাজ্জুদ নামাজ সালাতের নিয়ম, Rules of Tahajjud Namaz
রাতের শেষ তৃতীয়াংশে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া উত্তম। তবে ঘুম থেকে সজাগ না হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ইশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেওয়া ভালো। তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা সর্বনিম্ন দুই রাকাত আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাত পড়া উত্তম বলে নির্দেশ দেওয়া আছে। তবে কেউ চাইলে এর বেশিও পড়তে পারেন।
এরপরে বিতর নামাজ পড়া। তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ম হচ্ছে একান্ত নিবিষ্ট মনে দুই রাকাত দুই রাকাত করে যথাসম্ভব লম্বা কেরাত, লম্বা রুকু ও সেজদা সহকারে পড়া। কেরাত উঁচু বা নিচু উভয় আওয়াজে পড়া যায়। তবে উঁচু আওয়াজে কারও সমস্যা হলে হলে চুপিচুপি পড়া কর্তব্য। তাহাজ্জুদ নামাজ রমজান ছাড়া অন্য সময় মাঝেমধ্যে জামাতে পড়া জায়েজ আছে তবে নিয়মিতভাবে নয়।
নিয়ম:
- তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধা।
- অতঃপর ছানা পড়া।
- সুরা ফাতেহা পড়া।
- সুরা মিলানো তথা কেরাত পড়া।
- অতঃপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু, সেজদা আদায় করা।
- এভাবেই দ্বিতীয় রাকাআত আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
- এভাবে দুই দুই রাকাআত করে ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম।
শেষ কথা, Conclusion
রাতের শেষ ভাগে তাহাজ্জুদের নামাজের পাশাপাশি আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ফেলা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া খাঁটি ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য। তাহাজ্জুদ নামাজ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ নামাজ। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ফরজ নামাজের পর শ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজ। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত বর্ণনা করছেন।