সাধারণত আমরা পুরনো কাগজপত্রকে গুরুত্ব দিই না। হলদেটে, ধূলিমাখা কাগজগুলোকে আবর্জনা ভেবে ছুড়ে ফেলে দিই জঞ্জালের স্তূপে। কিন্তু যদি বলি, সেই ‘অপ্রয়োজনীয়’ কাগজই আপনাকে রাতারাতি কোটিপতি করে দিতে পারে? শুনে অবাক হচ্ছেন? কিন্তু চিলির হিনোজোসার জীবনে সত্যিই এমন ঘটনাই ঘটেছে!
চিলির এই যুবক নিজের পুরনো বাড়িতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন। হঠাৎই কাগজপত্রের স্তূপের মধ্যে থেকে একটি অদ্ভুত দেখতে বই খুঁজে পান। না, তা কোনও গল্পের বই নয়। ছিল একখানা পুরনো পাসবুক! চেহারায় ঝাপসা, কিন্তু তাতে লুকিয়ে ছিল কোটি টাকার গুপ্তধন!

পাসবুকটি ছিল ৬২ বছরের পুরনো! ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে হিনোজোসার বাবা ওই ব্যাঙ্কে জমা রেখেছিলেন ১.৪ লক্ষ টাকা। সেই টাকায় বাড়ি কেনার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু বিষয়টি পরিবারের কাউকে না জানিয়েই চলে যান পরপারে। কেটে যায় বহু বছর, আর সেই টাকার কথা কেউ জানতেও পারেননি।
হিনোজোসা যখন পাসবুকটি খুঁজে পান, তখন জানতে পারেন ব্যাঙ্কটি বহু আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু পাসবুকের একটি লাইনে হঠাৎ চোখ আটকে যায় তাঁর— লেখা ছিল “স্টেট গ্যারান্টি”, অর্থাৎ ব্যাঙ্ক বন্ধ হলেও সরকারের তরফ থেকে টাকা ফেরতের নিশ্চয়তা!
পাসবুকটি নিয়ে একাধিক আধিকারিকের কাছে গিয়েও কিছু লাভ হয়নি। শেষে বাধ্য হয়ে আইনি পথ বেছে নেন হিনোজোসা। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়। সরকারের তরফ থেকে সুদ সহ ফেরত দেওয়া হয় ১০ কোটি ২১ লক্ষ টাকা!

এক মুহূর্তেই বদলে যায় হিনোজোসার জীবন। আজ তিনি কোটিপতি। শুধুমাত্র একটি পুরনো পাসবুকই তাঁর ভাগ্য ঘুরিয়ে দিয়েছে।
তাই বলতেই হয়— “যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই। পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন!”
আপনার ঘরেও কি পড়ে আছে এমন কোনও পুরনো কাগজ? এবার একটু খুঁটিয়ে দেখাই যায় না কি? ভাগ্য বদল তো আর বলে-কয়ে আসে না!