গত বছরই শিয়ালদা বিভাগে এসি লোকাল ট্রেন চালানোর ঘোষণা করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে যাত্রীদের মধ্যে এই পরিষেবার জন্য বাড়তি আগ্রহ এবং অপেক্ষা বেড়েছে। বিশেষ করে সরকারি ও বেসরকারি দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা এই নতুন পরিষেবা শুরু হওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
তবে এক বছর পেরিয়ে গেলেও শিয়ালদায় এসি লোকাল ট্রেন পৌঁছায়নি। তবে আশার কথা, সম্প্রতি চেন্নাইয়ের ICF থেকে একটি এসি রেক কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এটি খুব শীঘ্রই নারকেলডাঙা কারশেডে এসে পৌঁছাবে এবং এরপর শুরু হবে ট্রায়াল রান।

পূর্ব রেল সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে শিয়ালদা মেইন শাখায় এসি রেক চলবে। এই পরিষেবার জন্য ইতিমধ্যেই ভাড়ার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, শিয়ালদা থেকে কৃষ্ণনগর যাওয়ার ভাড়া হবে ২৮০ টাকা, অর্থাৎ একদিকে ভাড়া ১৪০ টাকা। এছাড়া মাসিক টিকিটের দাম হবে ২,৮১৫ টাকা।
কলকাতা ও শহরতলিতে এসি লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হলে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শিয়ালদা বিভাগের বিভিন্ন শাখায় লোকাল ট্রেনে প্রচুর ভিড় হয়, যা অনেক যাত্রীদের জন্য এক বড় সমস্যা। যাত্রীদের মতে, এসি লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলে এই ভিড় অনেকাংশে কমে যাবে এবং যাতায়াতের সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া, শহরের আশপাশে সরকারি ও বেসরকারি দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা যাতায়াতের সুবিধার জন্য ফ্ল্যাট কিনে বসবাস শুরু করেছেন। যাতায়াতের সুবিধা বাড়লে, অনেকেই তাঁদের স্থায়ী ঠিকানায় থেকে যাবেন, যা উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের খরচের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলবে। এই পরিবর্তনগুলি গ্রামীণ এবং মফস্বল এলাকার অর্থনীতির উন্নতি ঘটাতে পারে।
এভাবে, শিয়ালদা বিভাগের এসি লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুধুমাত্র যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা নয়, বরং এটি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।