ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক বিশাল পদক্ষেপের পথে। পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির দৌড়ে ভারত আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল, যা নিঃসন্দেহে শত্রুদেশের বুকে কাঁপন ধরাবে। এখনও পর্যন্ত এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেবলমাত্র আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন-এর হাতেই রয়েছে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে দেশের স্বনির্ভরতা :
এমসিএ (মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট) যুদ্ধবিমানটি স্টিলথ প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যার ফলে শত্রুদেশের রাডার এটিকে সহজে শনাক্ত করতে পারে না। এটি সাধারণ যুদ্ধবিমানের চেয়ে অনেক বেশি উচ্চতায় এবং দ্রুত উড়তে সক্ষম। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান দেশেই তৈরি হবে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে আত্মনির্ভরতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
এএমসিএ প্রকল্প: সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব :

অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কম্ব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এএমসিএ) শিল্প অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তৈরি হবে। মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এএমসিএ প্রোগ্রাম এক্সিকিউশন মডেলের অনুমোদন দিয়েছেন। এই কর্মসূচিতে দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলি যৌথভাবে অথবা এককভাবে অংশ নিতে পারবে।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য যুদ্ধবিমান ডিজাইন ও ডেভেলপ করার দায়িত্বে থাকা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এডিএ)-র কাছে এএমসিএ একটি স্বপ্নের প্রকল্প। এই নতুন মডেলের অনুমোদনের ফলে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলি এই প্রকল্পে সমানভাবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তবে, এই সংস্থাগুলিকে অবশ্যই ভারতীয় কোম্পানি হতে হবে এবং ভারতীয় আইন মেনে চলতে হবে।
২০৩০ সালের পর উৎপাদন শুরু :
জানা গেছে, ২০৩০ সালের পর ভারত এই পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলির নির্মাণ শুরু করবে। এই যুদ্ধবিমানগুলি থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্ভুলভাবে আঘাত হানা যাবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এটি মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভর হওয়ার পথে একটি বড় মাইলফলক হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই যুদ্ধবিমান ভারতীয় সেনার হাতে আসার পর শত্রুদেশের সঙ্গে লড়াইয়ে ভারত এক কদম এগিয়ে থাকবে।