সব চাকরি চলে যাবে AI-এর হাতে, শুধু এই তিনটিতে হাত ছোঁয়াবে না! জানালেন বিশেষজ্ঞরা

সব চাকরি চলে যাবে AI-এর হাতে

ক্রমশ বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-এর দাপট, আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের মনে চাকরি হারানোর আশঙ্কা। এ নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, AI কি সব কাজ কেড়ে নেবে? সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি সমীক্ষা এই বিষয়ে নতুন তথ্য সামনে এনেছে।

AI-এর আগ্রাসনে কোন চাকরি থাকবে এবং কোনগুলো যাবে?

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমীক্ষা বলছে, প্রযুক্তিগত উন্নতি, পরিবেশবান্ধব পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাভিত্তিক পরিবর্তনের ফলে বিশ্বজুড়ে কাজের বাজার পুনর্গঠিত হচ্ছে। AI যদিও বৈশ্বিক উৎপাদন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনছে, তবুও কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য এটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।

সমীক্ষা অনুসারে, প্রায় ৯ কোটি চাকরি AI-এর অধীনে চলে যেতে পারে। তবে আশার কথা হলো, AI ব্যবহারকারী সংস্থাগুলো একই সময়ে সাড়ে সাত কোটি নতুন চাকরির সুযোগও তৈরি করবে। অর্থাৎ, চাকরি সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হবে না, বরং কাজের ধরন সহজ হবে এবং নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।

যেসব কাজ AI-এর দখলে যেতে পারে সেগুলি হল :

কনটেন্ট রাইটিং: AI খুব দ্রুত কনটেন্ট তৈরি করতে পারে, যা এই পেশার উপর প্রভাব ফেলবে।
গ্রাফিক ডিজাইন ও ভিজ্যুয়াল আর্ট: এই ক্ষেত্রগুলিতেও AI-এর প্রভাব দেখা যাবে।
অ্যালগরিদম-নির্ভর কাজ: বিমা ক্ষেত্রে দায়ভার নির্ধারণ, ক্লায়েন্ট সার্ভিসিং এবং ডেটা এন্ট্রির মতো কাজগুলি AI-এর নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে।

যেসব কাজ AI-এর দখলে যেতে পারে সেগুলি হল

তবে সমীক্ষা বলছে, কিছু পেশা AI-এর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে এবং আগামী পাঁচ বছরে সেগুলোর চাহিদা বাড়বে। এই কাজগুলি মূলত মানবিক যোগাযোগ, সৃজনশীলতা এবং জটিল সমস্যা সমাধানের উপর নির্ভরশীল।

যেসব কাজ AI-এর প্রভাব থেকে নিরাপদ থাকবে সেগুলি হল :

  1. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: জটিল সফটওয়্যার ডিজাইন ও উদ্ভাবনে মানুষের দক্ষতা অপরিহার্য।
  2. স্বাস্থ্যসেবা (বিশেষত নার্সিং): নার্সিংয়ে সহানুভূতি এবং সরাসরি রোগীর যত্নের প্রয়োজন, যা AI অনুকরণ করতে পারে না।
  3. সমাজসেবা এবং মানবিক যোগাযোগ-নির্ভর কাজ: ডেলিভারি পার্সন, নির্মাণ শ্রমিক, দোকানদার এবং সমাজসেবামূলক কাজ যেখানে সরাসরি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ প্রয়োজন, সেখানে AI সফলভাবে প্রতিস্থাপন করতে পারবে না। AI চাকরির বাজারকে সম্পূর্ণরূপে গ্রাস করবে না, বরং কাজের ধরনকে পরিবর্তন করবে। রুটিন কাজগুলির জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়লেও, সৃজনশীলতা, মানবিক যোগাযোগ এবং জটিল সমস্যা সমাধানের উপর নির্ভরশীল পেশাগুলি ভবিষ্যতেও সুরক্ষিত থাকবে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে নতুন দক্ষতা অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি।

RIma Sinha

Rima Sinha is working as a writer and also as a journalist. she got her bachelor of arts degree from Tripura University. She has also completed Master of Arts in Journalism and mass communication from Chandigarh University.

Recent Posts