পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য রয়েছে এক দারুণ সুখবর! বাংলার বুকে গড়ে উঠছে এক অত্যাধুনিক সেতু, যা শুধু যানজটের সমস্যাই লাঘব করবে না, বরং হয়ে উঠবে এশিয়ার এক নতুন স্থাপত্য নিদর্শন। এই দ্বিতীয় ঈশ্বরগুপ্ত সেতু নদীয়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা – এই তিনটি জেলাকে সংযুক্ত করে কলকাতা বিমানবন্দর পৌঁছানোর পথকে করবে মসৃণ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক বিশেষ উদ্যোগে নির্মিত এই সেতুটি আধুনিক পরিকাঠামোর এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে।
এই স্বপ্নের প্রকল্পটি হুগলির মোগরা থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে সরাসরি কলকাতা বিমানবন্দরকে সংযুক্ত করবে। বিধায়ক তপন দাসগুপ্ত জানিয়েছেন, বর্তমান ঈশ্বরগুপ্ত সেতুটি বড় যানবাহন চলাচলের জন্য উপযুক্ত নয়, তাই দ্বিতীয় সেতুর প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিনের।
এই সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা প্রাথমিকভাবে ১৩৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে থাকলেও, কাজের সময়সীমা কিছুটা বাড়ায় এর খরচ প্রায় ১৭০০ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে জানা গেছে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।
এশিয়ার প্রথম ইউনিক ডিজাইন :

এই সেতুর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর নকশা। এটি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের নয়, এশিয়ার প্রথম ইউনিক ডিজাইনের সেতু হতে চলেছে! ডেনমার্কের এক খ্যাতনামা ডিজাইনার কনসালটেন্সি সংস্থা এই সেতুর নকশা তৈরি করেছে, যা এই প্রকল্পকে আন্তর্জাতিক মানের করে তুলেছে। এই ডিজাইন শুধু কার্যকরী নয়, নান্দনিকতার দিক থেকেও নজর কাড়বে।
সেতু নির্মাণকালে জলের পাইপলাইনসহ অন্যান্য জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে, কিন্তু গণপূর্ত ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল পূর্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়মিতভাবে এই কাজের তদারকি করছেন।
এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেতুটি যখন সম্পূর্ণ হবে, তখন মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এটি শুধু ভ্রমণকেই সহজ করবে না, পাশাপাশি রাজ্যের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই দ্বিতীয় ঈশ্বরগুপ্ত সেতু নিঃসন্দেহে বাংলার মুকুটে এক নতুন পালক যোগ করতে চলেছে।