বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নাম রাখা হল ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি বিজ্ঞপ্তিতে স্টেডিয়ামের নামবদলের কথা জানিয়েছেন।
এই স্টেডিয়ামটি ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর পূর্বের নাম ছিল ঢাকা স্টেডিয়াম। ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এর নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম রাখে। এই স্টেডিয়ামে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে, এবং এটি বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

ক্রিকেট ও ফুটবলের এক ঐতিহাসিক মিলনক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম:
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, একসময় ক্রিকেট আর ফুটবলের যুগপৎ ময়দান হিসেবে পরিচিত ছিল। এই স্টেডিয়ামটি শুধু খেলাধুলার স্থান ছিল না, বরং এটি ছিল অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী। আশি ও নব্বইয়ের দশকে এই স্টেডিয়ামে ক্রিকেট এবং ফুটবল উভয় খেলাই সমান তালে চলত।
এই স্টেডিয়ামের একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। দেশভাগের আগে এখানে পাকিস্তান দল টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। শুধু তাই নয়, সৌরভ গাঙ্গুলী, শচীন টেন্ডুলকারের মতো বিখ্যাত ক্রিকেটাররাও এই মাঠে খেলেছেন। তাদের পায়ের ধুলো পড়েছে এই মাঠটিতে।
তবে, সময়ের স্রোতে অনেক কিছুই বদলে যায়। 2005 সালের পর থেকে এই স্টেডিয়ামটি কেবল ফুটবল এবং অ্যাথলেটিক্সের জন্য ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ক্রিকেট খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামটি পল্টন এলাকায় অবস্থিত। এটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় অনেক মানুষের কাছে এটি পরিচিত। যদিও এখানে এখন ক্রিকেট খেলা হয় না, তবুও এই স্টেডিয়ামের ঐতিহাসিক গুরুত্ব আজও অনেক মানুষের মনে অমলিন হয়ে আছে।
বর্তমানে এটি ফুটবলপ্রেমী এবং অ্যাথলেটিক্সের খেলোয়াড়দের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তবে এই স্টেডিয়ামটি শুধু খেলাধুলার স্থান নয়, এটি অনেক স্মৃতি আর ঐতিহ্যের ধারক।