দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নামায় এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে নজিরবিহীন ভিড়। এই ভিড় সামাল দিতে এবং মন্দির চত্বরে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বড়সড় পদক্ষেপ নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। প্রকাশিত হয়েছে ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দিঘা থানা এবং দিঘা মোহনা থানা এলাকার বাসিন্দারাই এই পদে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ ১৯ মে। আবেদনকারীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে অষ্টম শ্রেণি পাশ এবং বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২০ বছর।

জানা গিয়েছে, জগন্নাথধামে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানা থেকে ২০০-র বেশি পুলিশ ও সিভিক কর্মীকে দিঘায় মোতায়েন করা হয়েছে। তবুও পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করছে প্রশাসন। তাই এবার স্থানীয়ভাবে সিভিক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এনসিসি, এনএসএস, সিভিল ডিফেন্সে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে এবং কম্পিউটার দক্ষতা থাকলে প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে আবেদনকারীর কোনো প্রকার অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা চলবে না।
জেলা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, “জগন্নাথধামকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড় হচ্ছে। শুধুমাত্র মন্দির নয়, তার আশপাশের এলাকাতেও ভিড়ের চাপ ব্যাপক। সেকারণেই অতিরিক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রয়োজন পড়ছে।”
এদিকে, ইতিমধ্যেই দিঘা থানা এবং দিঘা মোহনা থানায় বেশ কিছু আবেদনপত্র জমাও পড়ে গেছে বলে জানা গেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন জমা দিলে পরবর্তী পর্যায়ে সাক্ষাৎকারের দিন ও স্থান জানিয়ে দেওয়া হবে।

যারা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজছিলেন, তাঁদের কাছে এটি এক উল্লেখযোগ্য সুযোগ। বিশেষত যাঁরা স্বল্প শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সরকারি সংস্থায় কাজের সুযোগ খুঁজছেন, তাঁদের জন্য এই নিয়োগ এক সুবর্ণ সুযোগ হয়ে উঠতে পারে।
দিঘার পর্যটন কেন্দ্রিক বিকাশ এবং জগন্নাথ মন্দির ঘিরে বেড়ে চলা জনসমাগম এই নিয়োগকে কার্যত সময়োপযোগী করে তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, কীভাবে এই নিয়োগ পরবর্তী পর্যায়ে দিঘার ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।