২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন দেবদত্তা মাঝি। এবার তিনি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা (মেন) এর প্রথম সেশনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে আরও একটি সাফল্যের পালক যোগ করলেন। তাঁর প্রাপ্ত পার্সেন্টাইল ৯৯.৯৯৯২১।
দেবদত্তা মাঝি পশ্চিমবঙ্গের একজন মেধাবী ছাত্রী। দেবদত্তা দুর্গাদাসী চৌধুরী গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। তাঁর মা স্কুলের শিক্ষিকা এবং বাবা কলেজের অধ্যাপক। দেবদত্তা ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু করতে চান এবং দেশের জন্য কাজ করতে চান।

দেবদত্তা পড়াশোনা নিয়ে সর্বদাই খুবই সিরিয়াস। এক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তিনি দিনে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। প্রায় প্রতিটি বিষয়ের জন্য তার গৃহশিক্ষক ছিল। শুধু তাই নয়, তার বাবা-মাও তাকে পড়াশোনায় সাহায্য করতেন। মায়ের কাছে তিনি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় বুঝতেন।
তবে দেবদত্তার সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস ছিল না। সাধারণত সকাল ৮টার দিকে ঘুম থেকে উঠতেন। কিন্তু ভোরে উঠতে না পারলেও, তিনি অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করতেন।
তার স্বপ্ন আইআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করছেন। আশা করা যায়, দেবদত্তা তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে এবং একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে।

দেবদত্তার এই সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর পরিবার, স্কুল এবং গোটা রাজ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এক সাক্ষাৎকারে দেবদত্তা জানান, সর্বভারতীয় জয়েন্ট পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথম হয়ে তিনি খুবই আনন্দিত। তবে এই সাফল্য তাঁর কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল না। দেবদত্তা কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ের মাধ্যমেই এই সাফল্য অর্জন করেছেন।
দেবদত্তা মাঝি ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭০০ নম্বরের মধ্যে ৬৯৭ নম্বর পেয়েছিলেন। আপাতত দেবদত্তা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জানান, জয়েন্টের প্রস্তুতির জন্য উচ্চমাধ্যমিকের দিকে তিনি তেমন মনোযোগ দিতে পারেননি। তবে এখন তিনি ভালোভাবে উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিতে শুরু করবেন। এরপর তিনি জেইই মেনের দ্বিতীয় সেশনের পরীক্ষাও দেবেন বলে জানিয়েছেন।
দেবদত্তার এই সাফল্যে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরাও অনুপ্রাণিত হবে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায় থাকলে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। দেবদত্তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য অনেকেই শুভকামনা জানিয়েছেন।