গ্রীষ্মের তাপদাহে ডায়াবেটিস রোগীরাও নিশ্চিন্তে উপভোগ করতে পারেন কিছু ফল। ডায়াবেটিস থাকলে ফল খাওয়া নিয়ে অনেকের মনেই দ্বিধা থাকে, কারণ অনেক ফলেই প্রাকৃতিক শর্করার (ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) মাত্রা বেশি থাকে। তবে কিছু ফল রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ এবং উপকারী। জেনে নিন তেমনই ৫টি গ্রীষ্মকালীন ফল সম্পর্কে:
১. জাম:
জামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) মাত্র ২৫, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো। এতে থাকা জাম্বোলিন নামক উপাদান শর্করাকে দ্রুত শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।
২. পেয়ারা:
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ফাইবার শর্করা শোষণ প্রক্রিয়া ধীর করে দেয় এবং ভিটামিন সি ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে বেশি থাকা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
৩. পেঁপে:
পেঁপের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম এবং এতে ফ্ল্যাভোনয়েডসের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৪. তরমুজ:
মিষ্টি স্বাদের হলেও তরমুজে প্রায় ৯০% জল থাকে। প্রোটিন ও ফ্যাটযুক্ত খাবারের সাথে অল্প পরিমাণে তরমুজ খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের কোনো সমস্যা হয় না।
৫. আপেল:
আপেলে পেকটিন নামক ফাইবার থাকে যা খাবার থেকে শর্করা শোষণ প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। যদিও আপেল শীতকালীন ফল, এটি গ্রীষ্মকালেও পাওয়া যায়।
এই ফলগুলো সঠিক পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিস রোগীরাও গ্রীষ্মের ফলের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। তবে যেকোনো নতুন ফল আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।