নেটদুনিয়া আজকাল এমন এক থিয়েটার, যেখানে প্রতিদিন নতুন নাটক! তবে এবার যা দেখা গেল, তাতে সত্যিই চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের, কারণ, চিকিৎসকের নামের পাশে এমবিবিএস বা এমডি নয়, লেখা— ‘এমএ’! তাও আবার রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি! আর সেই প্রেসক্রিপশনের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরালের ঝড় বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
উত্তরপ্রদেশের হরদই জেলার জাহিদপুর শহরের একটি ক্লিনিকের প্রেসক্রিপশন এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ক্লিনিকের নাম “শ্রীবাস্তব ক্লিনিক”, যেখানে প্রেসক্রিপশনে দেখা যাচ্ছে দুই চিকিৎসকের নাম— দীনেশ শ্রীবাস্তব ও বরুণ শ্রীবাস্তব।

দীনেশ শ্রীবাস্তবের যোগ্যতার পাশে লেখা আছে “BAMS, সার্জন”— মোটামুটি ঠিকঠাক। কিন্তু বরুণ শ্রীবাস্তবের পাশে চোখে পড়ে “M.A. (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)”। আর এটুকুই যথেষ্ট ছিল নেটিজেনদের চমকে দেওয়ার জন্য।
ইনস্টাগ্রামে ‘MR Group Agency’ নামের একটি পেজ থেকে পোস্টটি শেয়ার হতেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ বলছেন, “এবার বুঝলাম রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করে রোগ সারানো যায়!” কেউ আবার মজা করে লিখেছেন, “এই চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে ওষুধ নয়, নীতিবাক্য লেখা উচিত ছিল!” এমনকি এক জন তো একধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেছেন— ‘রাজনৈতিক চিকিৎসক’ তৈরি হলো অবশেষে!’
কেউ কেউ কড়া ভাষায় তাঁকে “ভুয়ো ডাক্তার” বলে আখ্যা দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন— “রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ডিগ্রি নিয়ে চিকিৎসা করতে অনুমতি কোথা থেকে পেলেন?”

যদিও এখনো পর্যন্ত সরকারি কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি, এবং সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে যে, তারা পোস্টটির সত্যতা যাচাই করেনি।
তবে এতটুকু বলা যায়— রাজনীতি থেকে চিকিৎসা, এই ক্যারিয়ার শিফটিং যেন সত্যিকারের “মেডিক্যাল মিরাকল”! নেটপাড়ায় এই নিয়ে হাস্যরসের ঢেউ থামার নাম নিচ্ছে না। শেষমেশ একটাই কথা— “এমএ পড়ে রোগ সারানোর বিদ্যে কোথায় শেখা যায়, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন!”