কলকাতার মানুষের জন্য সুখবর! প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবী শেঠি কলকাতায় একটি অত্যাধুনিক মাল্টি-সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করছেন। এই হাসপাতালটি নিউটাউনে স্থাপিত হবে এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের শিলান্যাসও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন।
ডাঃ দেবী শেঠির কাজের সাধারণ পরিক্ষেপ:

তিনি 1989 সালে ভারতে ফিরে আসেন এবং প্রথমে কলকাতার বিএম বিড়লা হাসপাতালে কাজ করেন।
1992 সালে দেশে প্রথম নবজাতকের হার্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
তিনি হৃদস্পন্দনের উপর বাইপাস গ্রাফটিং অপারেশনে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে দক্ষ চিকিৎসকদের একজন।
2001 সালে, শেট্টি নারায়ণ হৃদয়ালয় (NH), ব্যাঙ্গালোরের উপকণ্ঠে বোম্মাসন্দ্রে একটি মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
রাজ্য সরকার কলকাতার বুকে একটি অত্যাধুনিক মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠিকে ৭. ২৬ একর জমি দিয়েছে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ক্যানসার, হৃদরোগ, অঙ্গ প্রতিস্থাপন, অর্থোপেডিকস ও ট্রমা কেয়ার, নিউরোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং কিডনির মতো জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে।

এছাড়াও, এখানে রোগীদের জন্য দ্রুত এবং কার্যকরী বহির্বিভাগ পরিষেবা, অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক সুবিধা এবং সর্বোত্তম স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তির সমস্ত সুবিধা থাকবে। এই প্রকল্পটি কলকাতাকে দেশের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি হাসপাতালটির শিলান্যাস করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি দেবী শেঠিকে ধন্যবাদ জানাই এই হেলথ সিটি তৈরি করার জন্য। এই হাসপাতাল সাধারণ মানুষ, গরীব মানুষের কথা ভেবে কাজ করবে। উনি বলেছেন বাংলা মানেই ব্যবসা। এই কথা শুনে আমার খুব ভাল লাগছে।’ মুখ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালকে কেন্দ্র করে বাংলায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

‘নারায়ণা হেলথ’-এর কর্ণধার ডাক্তার দেবীপ্রসাদ শেঠি পিছিয়ে পড়া নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য ১ কোটি টাকার স্বাস্থ্য বীমা চালু হবার কথাও ঘোষণা করেন। এর বার্ষিক প্রিমিয়াম দিতে হবে মাত্র ১০ হাজার টাকা। তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘বছরের পর বছর ধরে নারায়ণা হেলথ সারা দেশে বিশ্বমানের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে চলেছে। আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে চলেছি, যাতে কলকাতার মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও যেতে বাধ্য না হন। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, যিনি হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য সময় দিয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করতে তাঁর সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”