ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণে এখন থেকে কেবল আধার কার্ডই যথেষ্ট নয়। সম্প্রতি, ১০ই জুলাইয়ের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে ভারতের নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে যে আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নয়। তাহলে কোন কোন নথি ভারতের নাগরিকত্ব হিসাবে গণ্য হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. পাসপোর্ট
অনেকেই মনে করেন, পাসপোর্ট কেবল বিদেশে ভ্রমণের জন্যই দরকারি। কিন্তু এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি যা দেশের নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবেও গণ্য হয়। আপনার ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য পাসপোর্ট একটি অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম।
২. জন্ম শংসাপত্র (Birth Certificate)
কোনো শিশুর জন্ম হলেই প্রশাসন জন্ম শংসাপত্র প্রদান করে। এই শংসাপত্রে শিশুর জন্মের স্থান নথিভুক্ত থাকে। ১৯৬৯ সালের রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থস অ্যান্ড ডেথস অ্যাক্ট অনুযায়ী ভারতে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুর জন্য এই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, এই সার্টিফিকেট একজন ব্যক্তির নাগরিকত্বের অন্যতম প্রধান প্রমাণ।
৩. কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নাগরিকত্ব শংসাপত্র

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দ্বারা জারি করা নাগরিকত্ব শংসাপত্রও নাগরিকত্বের একটি বৈধ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশেষ করে যারা নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি।
৪. ডোমিসাইল সার্টিফিকেট (Domicile Certificate)
ডোমিসাইল সার্টিফিকেট বা বাসস্থান শংসাপত্রও ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটি প্রমাণ করে যে আপনি নির্দিষ্ট একটি রাজ্যে বা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। যদিও এটি সরাসরি নাগরিকত্ব প্রমাণ করে না, তবে অন্যান্য নথির সাথে এটি আপনার ভারতীয় পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিপূর্বে বহুবার বলেছে যে আধার কার্ড ভারতের নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, যদিও এটি বর্তমানে ভারতীয়দের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিচয়পত্র। তাই, ভবিষ্যতে কোনো রকম জটিলতা এড়াতে আপনার এই চারটি গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহে রাখা অত্যন্ত জরুরি।