হুগলি জেলার ত্রিবেণী সঙ্গমে ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ ৩ দিনের জন্য কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে। এই মেলাটি ত্রিবেণী কুম্ভমেলা নাম পরিচিত। এখানে পুণ্যস্নানের সঠিক সময় এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে সাধারণত, কুম্ভমেলার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান স্নান অনুষ্ঠিত হয়।

- ঐতিহ্য: এই মেলাটি প্রায় ৭০২ বছর পুরোনো। এখানে গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে সাধুসন্তরা ত্রিবেণীতে বিশ্রাম নিতেন এবং মাঘ সংক্রান্তিতে ত্রিবেণীতে স্নান করতেন। সেই সূত্র ধরেই প্রথমবার এই মেলার আয়োজন করা হয়েছিল।
- গুরুত্ব: ত্রিবেণী সঙ্গম একটি পবিত্র স্থান, যেখানে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর মিলন হয়েছে। এখানে স্নান করলে সকল পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়।
- আয়োজন: বাঁশবেড়িয়া পৌরসভা ও ত্রিবেণী কুম্ভ পরিচালন সমিতি এই মেলার পরিচালনা করে থাকে। এখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কুম্ভ মেলা বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি। এই মেলায় লক্ষ লক্ষ হিন্দু তীর্থযাত্রী অংশগ্রহণ করেন। তারা গঙ্গা নদীতে স্নান করেন এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করেন।
ত্রিবেণীর কুম্ভ মেলা অন্যান্য কুম্ভ মেলাগুলির তুলনায় একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এটি ৭০২ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে এই মেলাটি ১৩২৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এই মেলাটি হুগলির ত্রিবেণীর ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই মেলাটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করবে।

হুগলি জেলার ত্রিবেণী নামক পবিত্র স্থানে তিনটি ঘাট রয়েছে – ত্রিবেণী ঘাট, সপ্তর্ষি ঘাট এবং রাজা ঘাট। এই তিনটি ঘাটেই কুম্ভস্নানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহাভারতের ‘বনপর্ব’-এ পুলস্ত্য মুনি হুগলির ত্রিবেণী তীর্থে কুম্ভমেলার কথা উল্লেখ করেছেন। পুলিশ আধিকারিকরা ঘাটগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছেন।
পুণ্যতীর্থ ত্রিবেণীতে কুম্ভস্থানের মধ্যে দিয়ে পবিত্র হবে বঙ্গ। এবার ত্রিবেণীও আগামী দিনে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেবে বলে আশা প্রশাসনের।