এক যুগ আগের ভয়ংকর স্মৃতি যেন ফিরে এল আবার! ২০১৩ সালে এস শ্রীসন্থ, অঙ্কিত চহ্বান, অজিত চাণ্ডিলাদের জড়িয়ে কলঙ্কিত হয়েছিল আইপিএল। বছরটা ২০২5, আর ফের ম্যাচ গড়াপেটার ছায়া তাড়া করছে ভারতীয় ক্রিকেটকে। আর অবাক কাণ্ড, এই অভিযোগের কেন্দ্রে আবার সেই রাজস্থান রয়্যালস!
কী ঘটেছে এবার?
আইপিএল ২০২৫-এর ৩৬ নম্বর ম্যাচে জয়পুরের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। লখনউ প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১৮০ রান। রাজস্থানের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৯ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট! কিন্তু সেই সহজ জেতার ম্যাচেই মাত্র ২ রানে হার! কীভাবে সম্ভব?

এই হারের পরেই ফেটে পড়েন রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক জয়দীপ বিহানি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট দাবি করেন, রাজস্থানের এই হারের পেছনে রয়েছে ‘ফাউল প্লে’! মানে, ম্যাচ গড়াপেটার গন্ধ পাচ্ছেন তিনি!
জয়দীপের বিস্ফোরক অভিযোগ!
- আরসিএ-কে আইপিএলের আয়োজন থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
- ক্রীড়া পরিষদ ও রাজস্থান রয়্যালস যৌথভাবে ষড়যন্ত্র করেছে বলে দাবি।
- সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামের কোনও মৌ নেই বলে অজুহাত, অথচ স্পোর্টস কাউন্সিলকে ম্যাচ পিছু অর্থ প্রদান হচ্ছে!
- এমনকি আরসিএ-র সদস্যদের জন্য কোনও অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডও করা হয়নি!
এতদূর সবই অভিযোগ, প্রমাণ? না, কিছু এখনও সামনে আসেনি। তবে এত বড় মঞ্চে এত বড় প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই দোলা দিয়েছে গোটা ক্রিকেটবিশ্বে।
রাজস্থান রয়্যালস কী বলছে?
ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে জয়দীপের সমস্ত অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও প্রমাণহীন’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে,
“এই ধরনের মন্তব্য শুধু বিভ্রান্তি ছড়ায় না, বরং বিসিসিআই, আরএমপিএল, রাজ্য ক্রীড়া পরিষদ এবং আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির সুনাম ক্ষুণ্ণ করে।”

তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে—
আইন মেনেই কাজ চলছে, আর বিসিসিআই এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই পুরো টুর্নামেন্ট পরিচালিত হচ্ছে।
পুরনো কলঙ্ক কি আবার ফিরে আসছে?
স্মরণ করিয়ে দিই, ২০১৩-র ঘটনার জেরে রাজস্থানের তৎকালীন মালিক রাজ কুন্দ্রা বেটিং কাণ্ডে ধরা পড়েছিলেন। ফলে ২০১৬-১৭ মরসুমে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। এখন আবার তাঁদের বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগ উঠতেই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে—
তারা কি আবার সেই পুরনো পথে হাঁটছে?
ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই অভিযোগ ঘিরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় #FixingInIPL ট্রেন্ড করছে।
এবার কী করবে বিসিসিআই? তদন্ত হবে তো? সত্যিই কিছু গড়াপেটা হয়েছে, নাকি সবই রাজনৈতিক খেলা?
আপনার কী মনে হয়? জয়পুরের ওই ম্যাচে কিছু গড়বড় ছিল? মতামত জানাতে ভুলবেন না!