ভারতীয় রেলের উন্নয়নের গতি দিন দিন চমকে দেওয়ার মতো হয়ে উঠছে। অত্যাধুনিক ট্রেন, উন্নত পরিষেবা এবং দ্রুতগামী রুটের সংযোজনের মাধ্যমে রেলভ্রমণ এখন অনেকটাই আরামদায়ক ও সময়সাশ্রয়ী। এবার হাওড়া থেকে দিঘাগামী যাত্রীদের জন্য আরও এক সুখবর নিয়ে আসছে ভারতীয় রেল। খুব শীঘ্রই হাওড়া-দিঘা রুটে ছুটতে চলেছে ‘নমো ভারত র্যাপিড রেল’, যাকে অনেকে বলছেন মিনি বন্দে ভারত।
মিনি বন্দে ভারতের আকর্ষণ

এই ট্রেনের লুক এবং প্রযুক্তি এতটাই উন্নতমানের যে অনেকেই একে বিদেশি ট্রেনের সঙ্গে তুলনা করছেন। বর্তমানে নমো ভারত র্যাপিড রেল দুটি রুটে চলাচল করছে – আহমেদাবাদ থেকে ভূজ এবং জয়নগর থেকে পাটনা। তবে রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবার পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া-দিঘা রুটেও দেখা মিলতে পারে এই ট্রেনের। যদিও সরকারিভাবে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি।
দ্রুতগতির যাত্রা – মাত্র ৩ ঘণ্টারও কম সময়ে দিঘা
হাওড়া থেকে দিঘার দূরত্ব প্রায় ১৮৬ কিলোমিটার। বর্তমান সময়ে এই পথ অতিক্রম করতে গড়ে ৩.৫ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু নমো ভারত চালু হলে এই সময়সীমা কমে দাঁড়াতে পারে ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে। এটি হবে এই রুটের দ্রুততম ট্রেন।
কোন কোন স্টেশনে থামবে?
সূত্র অনুযায়ী, এই ট্রেনটি মাঝপথে সাঁতরাগাছি, উলুবেড়িয়া, মেছেদা, তমলুক, কাঁথি—এই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে থামবে। এর ফলে শুধুমাত্র হাওড়া-দিঘা নয়, মাঝপথের যাত্রীদের জন্যও এটি একটি দারুণ সুবিধাজনক ট্রেন হতে চলেছে।
কত হবে ভাড়া?

নমো ভারত র্যাপিড রেলে থাকবে মোট ১৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ। হাওড়া থেকে দিঘা পর্যন্ত যাত্রার সম্ভাব্য ভাড়া হতে পারে ৪০০-৪৫০ টাকা। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং দ্রুতগতির ভ্রমণের তুলনায় এই ভাড়া অনেকটাই যুক্তিসঙ্গত বলেই মনে করছেন যাত্রীরা।
সময়সারণি কী হবে?
যাত্রীদের সুবিধার্থে ট্রেনটির সময়সূচীও রাখা হচ্ছে খুবই যাথার্থ:
- হাওড়া থেকে ছাড়বে সকাল ৭:০০ টায়, দিঘা পৌঁছবে সকাল ৮:৪৫ নাগাদ।
- দিঘা থেকে ফিরতি যাত্রা শুরু সন্ধ্যা ৬:০০ টায়, হাওড়া পৌঁছবে রাত ৭:৪৫ নাগাদ।
হাওড়া-দিঘা রুটে নমো ভারত চালু হলে পর্যটকদের জন্য যেমন সুবিধা হবে, তেমনি এই রুটে যাতায়াত করা স্থানীয় মানুষদের জন্যও এটি এক বিপ্লব এনে দিতে পারে। বলাই যায়, ভারতীয় রেল যে আধুনিকতার পথে এক বিশাল পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার আরেকটি প্রমাণ হতে চলেছে এই মিনি বন্দে ভারত।