পশ্চিমবঙ্গের মধ্যমগ্রামে একটি নতুন ইকোপার্ক তৈরি করা হয়েছে, যা নিউ টাউনের ইকো পার্কের আদলে তৈরি। এই পার্কটি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক সুবিধা রয়েছে, যা দর্শকদের আকৃষ্ট করবে।
মধ্যমগ্রামে হঠাৎ ইকো পার্ক গড়ে তোলার প্রধান কারণ হল পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া, নিউটাউনের ইকো পার্কে অতিরিক্ত ভিড় হওয়ার কারণে দর্শকদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই ইকো পার্ক তৈরির পিছনে মূলত রয়েছেন বর্তমানে খাদ্য সরবরাহ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী রথীন ঘোষ। যখন তিনি পুরপ্রধান ছিলেন, তখন কলকাতা পৌরসভার তত্ত্বাবধানে এই কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পানিহারা এলাকায় ১০ একর জমি এই পার্কের জন্য দেওয়া হয়েছে।

তবে, কিছু সময় আর্থিক সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে সেই সমস্যা সমাধান হওয়ায় পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই এই ইকো পার্কটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
মধ্যমগ্রামের ইকো পার্কে কী কী সুবিধা থাকছে?
শীঘ্রই চালু হতে চলেছে একটি নতুন ইকো পার্ক, যেখানে থাকবে একাধিক আধুনিক সুবিধা। এই পার্কটি শুধু বিনোদনের জন্য নয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নিচে পার্কের প্রধান আকর্ষণগুলো তুলে ধরা হলো:
- বিশাল জলাশয় ও বোটিং: পার্কের ভিতরে একটি বড় জলাশয় থাকবে, যেখানে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এটি দর্শকদের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণ হবে।
- ব্রিজ: জলাশয়ের উপর দিয়ে যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটি সুন্দর ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে।
- আলোর ব্যবস্থা: নিউটাউনের ইকো পার্কের মতো, মধ্যমগ্রামের ইকো পার্কেও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। ফলে সন্ধ্যায়ও পার্কটি আলোকিত থাকবে এবং দর্শকরা নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
- খেলার মাঠ: বাচ্চাদের খেলার জন্য একটি বড় মাঠ তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে তারা দৌড়াদৌড়ি ও খেলাধুলা করতে পারবে।
- বসার স্থান: প্রবীণদের বিশ্রাম ও আড্ডা মারার জন্য পার্কটিতে যথেষ্ট বসার ব্যবস্থা থাকছে।
- ফুড কোর্ট: দর্শকদের খিদে মেটানোর জন্য পার্কের ভিতরে একটি ফুড কোর্ট তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যাবে।
- ফল ও ফুলের গাছ: পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রচুর ফল ও ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।
- পার্কিং জোন: দর্শকদের গাড়ি পার্ক করার জন্য পার্কিং জোনের ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়াও, পার্কটিতে আরও অনেক আধুনিক সুবিধা থাকবে যা দর্শকদের আনন্দ ও বিনোদনের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

এই পার্কটি মধ্যমগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন ঠিকানা হয়ে উঠেছে, যেখানে তারা প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে পারবে। এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ, যা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি সুন্দর জায়গা তৈরি করেছে।