ভারতের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৫ সাল থেকে ট্রেনে যাতায়াতে পাবেন ৭০% পর্যন্ত ছাড়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে এই নতুন ছাড়ের নিয়ম, যা বয়স্ক নাগরিকদের আর্থিক সাশ্রয় তো করবেই, পাশাপাশি ঘর থেকে বেরিয়ে দেশজুড়ে ঘোরার উৎসাহও অনেকটাই বাড়াবে।
নতুন নিয়মে কারা উপকৃত হবেন?
নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫৮ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলা প্রবীণ হিসেবে গণ্য হবেন এবং ট্রেনের টিকিটে ৭০% পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
এই ছাড় প্রযোজ্য হবে—
- স্লিপার ক্লাস
- এসি ক্লাস
- চেয়ার কার সহ সমস্ত শ্রেণীর টিকিটে।
আগে কত ছাড় ছিল?
এর আগে পুরুষ সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ট্রেনে ৪০% এবং মহিলাদের জন্য ৫০% ছাড় ছিল। এবার এই হার একধাক্কায় বাড়িয়ে ৭০% করে দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসিত হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
কীভাবে মিলবে এই ছাড়?
সিনিয়র সিটিজেনদের এই ছাড় পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথি হল : বয়স ও পরিচয়ের প্রমাণ যেমন আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি বা পাসপোর্ট।

ছাড় পাওয়া যাবে—
- অনলাইন টিকিট বুকিং (IRCTC ওয়েবসাইট ও অ্যাপে)
- অফলাইন রেল কাউন্টার—উভয় পদ্ধতিতেই।
IRCTC প্ল্যাটফর্মে “Senior Citizen Concession” অপশনটি সিলেক্ট করে আইডি ডকুমেন্ট আপলোড করলে অটোমেটিকভাবে ছাড় যুক্ত হয়ে যাবে টিকিটে।
আরও কী সুবিধা থাকছে প্রবীণদের জন্য?
এই নতুন প্রকল্পে শুধু ছাড়ই নয়, বয়স্ক যাত্রীদের জন্য ট্রেন যাত্রাকে আরও স্বস্তিদায়ক করার লক্ষ্যে থাকছে নানা ব্যবস্থা:
- লোয়ার বার্থ-এর জন্য অগ্রাধিকার
- হুইলচেয়ার সহায়তা
- পৃথক কিউ ও অপেক্ষার জায়গা
এই সব সুবিধা প্রবীণদের শারীরিক চাপ কমাতে এবং যাত্রাকে আরও আরামদায়ক করে তুলবে।
কোন কোন ট্রেনে প্রযোজ্য এই ছাড়?
এই ৭০% ছাড়টি প্রযোজ্য হবে—
- মেল ট্রেন
- এক্সপ্রেস
- সুপারফাস্ট ট্রেন সহ সব ধরনের ট্রেনে।
এই ছাড়ের ফলে তীর্থস্থান, পারিবারিক সফর বা নিছক অবসর যাত্রার জন্য দেশের নানা প্রান্তে ভ্রমণ করা আরও সহজ হয়ে উঠবে প্রবীণদের কাছে।
অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে?
ভারতীয় রেলের মতে, এই ছাড়ে বৃদ্ধ নাগরিকদের মধ্যে ঘোরাঘুরির প্রবণতা বাড়বে, বিশেষ করে ধর্মীয় স্থান, ঐতিহাসিক শহর এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। ফলে বাড়বে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসা, রেস্তোরাঁ, হোটেল, গাইড এবং অন্যান্য পরিষেবার চাহিদা—যা পরোক্ষভাবে দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।