দেশজুড়ে জমি রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়ায় আসছে বড়সড় পরিবর্তন। ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন নিয়মাবলি, যার মাধ্যমে জমি ক্রয়-বিক্রয় আরও স্বচ্ছ, দ্রুত এবং নিরাপদ হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দুর্নীতি রোধ এবং জালিয়াতি বন্ধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নতুন নিয়মে কী কী থাকছে?

১. আধার-ভিত্তিক ডকুমেন্ট বাধ্যতামূলক:
এবার থেকে জমি কেনাবেচার সময় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কে আধার নম্বর দিয়ে পরিচয় প্রমাণ করতে হবে। এতে পরিচয় গোপন রেখে লেনদেনের সুযোগ কমে যাবে।
২. ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে ভূমি রেকর্ড:
নির্বাচিত রাজ্যগুলোতে চালু হচ্ছে ব্লকচেইন-ভিত্তিক ডিজিটাল ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থা। এতে জমির মালিকানা সংক্রান্ত রেকর্ড থাকবে হ্যাক-প্রুফ ও সুরক্ষিত।
৩. অনলাইন নথি দাখিল:
বিক্রয় দলিল, ট্যাক্স রসিদ, চুক্তিপত্রসহ যাবতীয় নথি এবার থেকে জমা দিতে হবে অনলাইনে। অফিসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।
৪. বায়োমেট্রিক যাচাই বাধ্যতামূলক:
সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক যাচাই করাতে হবে জমি কেনাবেচায় জড়িত পক্ষগুলিকে। এতে জালিয়াতি প্রতিরোধ সম্ভব হবে।
৫. ১০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন:
নতুন নিয়মে, যাবতীয় নথি সঠিক থাকলে জমি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে মাত্র ১০ কর্মদিবসের মধ্যে।
৬. জিআইএস ভিত্তিক ভূমি ম্যাপিং:

সীমানা নির্ভুলতা রোধে এবার থেকে জমির অবস্থান ও পরিমাপ নির্ধারণ করা হবে জিআইএস প্রযুক্তি-ভিত্তিক মানচিত্রের মাধ্যমে। এতে মালিকানা ও সীমার সমস্যার নিরসন হবে।
৭. জমি জালিয়াতি রোধে অনলাইন রেকর্ড:
সব ধরনের জমির রেকর্ড থাকবে অনলাইনে, যা সাধারণ মানুষও যাচাই করতে পারবেন। জাল দলিল, বিতর্কিত প্লট বা অস্পষ্ট মালিকানার সমস্যা কমবে অনেকটাই।
এই নতুন ব্যবস্থার ফলে একদিকে যেমন জমি রেজিস্ট্রেশনের গতি বাড়বে, তেমনই দুর্নীতির সুযোগও কমে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।