সনাতন ধর্মে মা সরস্বতীকে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শাস্ত্র অনুসারে, মা সরস্বতী হলেন ব্রহ্মা দেবের সৃষ্টিশক্তি এবং তিনিই মহাবিশ্বের সকল জ্ঞান ও শিল্পের অধিষ্ঠাত্রী। তাঁর আশীর্বাদে মানুষ জ্ঞান ও বুদ্ধি লাভ করে।
সরস্বতী পূজার দিনে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করলে সাধক বুদ্ধি ও জ্ঞান লাভ করেন। এই বিশ্বাসের পেছনে শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস ও সংস্কৃতি লুকিয়ে আছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে দেবী সরস্বতী ভক্তদের আরাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে তাদের জ্ঞানের আলোকে আলোকিত করেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য এই উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শিক্ষার্থীরা এই দিনে দেবীর কাছে জ্ঞানলাভের কামনা করে। তারা বিশ্বাস করে যে, দেবীর আশীর্বাদে তারা পড়াশোনায় উত্তীর্ণ হবে এবং ভবিষ্যতে সফল হবে।
বসন্ত পঞ্চমী হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিনে দেবী সরস্বতীকে পূজা করা হয়। ২০২৫ সালে বসন্ত পঞ্চমী কবে উদযাপন করবেন? জেনে নিন সঠিক সময় :

প্রতি বছরের মতো এবারও বসন্ত পঞ্চমীকে ঘিরে কিছুটা বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দৃকপঞ্জিকা ও বেণীমাধব শীলের গার্হস্থ্য পঞ্জিকার তথ্যের কিছুটা অমিল থাকায় অনেকেই জানতে চাচ্ছেন, আসলে কবে সরস্বতী পুজো করা উচিত?
দৃকপঞ্জিকা অনুসারে, ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে পঞ্চমী শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ৬টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত চলবে। উদয়া তিথি অনুসারে ৩ ফেব্রুয়ারি হল বসন্ত পঞ্চমী।
অন্যদিকে, বেণীমাধব শীলের গার্হস্থ্য পঞ্জিকা অনুসারে, রবিবার বেলা ১২টা ৩৪ মিনিটে পঞ্চমী শুরু হয়ে সোমবার ৯টা ৫৯ মিনিটে শেষ হবে। সকালে পঞ্চমী ছেড়ে গেলেও, তিথি ৩ ফেব্রুয়ারি হওয়ায় জ্যোতিষবিদরা সেদিনই পুজো করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
তাহলে কী করবেন?
দুটি পঞ্জিকার তথ্যের মধ্যে এই মতবিরোধের কারণে অনেকেই বিভ্রান্ত হতে পারেন। তবে সাধারণত উদয়া তিথিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই জ্যোতিষবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সরস্বতী পুজো করা উচিত।

কেন এই বিভিন্নতা?
দৃকপঞ্জিকা ও গার্হস্থ্য পঞ্জিকার গণনা পদ্ধতির কিছুটা পার্থক্য থাকার কারণে এই বিভিন্নতা দেখা যায়।
কোন পঞ্জিকা অনুসারে পুজো করবেন, তা আপনার নিজের বিশ্বাস ও পছন্দের উপর নির্ভর করবে। তবে জ্যোতিষবিদদের পরামর্শ অনুসারে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সরস্বতী পুজো করা উচিত।