চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গরমের প্রভাব চরমে পৌঁছেছে। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত—প্রায় ৫১ দিনের গ্রীষ্মকালীন ছুটি। সাম্প্রতিক বছরগুলির মধ্যে এই ছুটি হচ্ছে সবচেয়ে দীর্ঘ, যা ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিয়েছে।
গরমের প্রকোপে অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা

গ্রীষ্মের শুরুতেই দেশের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা নানা শারীরিক সমস্যায় পড়ছে। হিটস্ট্রোক, জ্বর, বমি, ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা বেড়েই চলেছে। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
কোন রাজ্যে কবে থেকে ছুটি?
দেশের আটটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই ছুটির দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। নিচে রাজ্যভিত্তিক তালিকা দেওয়া হল—
- উত্তরপ্রদেশ: ১৫ মে থেকে
- বিহার: ১৪ মে থেকে
- রাজস্থান: ১৩ মে থেকে
- মধ্যপ্রদেশ: ১৮ মে থেকে
- দিল্লি: ২০ মে থেকে
- হরিয়ানা: ১৯ মে h
- তেলেঙ্গানা: ২১ মে থেকে
প্রতিটি রাজ্যেই গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলবে জুলাই মাস পর্যন্ত।
পশ্চিমবঙ্গে ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে :
পশ্চিমবঙ্গে গরমের তীব্রতা আগাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ছুটি আগেভাগেই শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, এবছর ৩০ এপ্রিল থেকেই স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হবে। গত বছরের মতো এবারও প্রায় দুই মাসের ছুটি হতে পারে, যা আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।

ভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন নিয়ম :
যদিও কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে ছুটির ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, তবুও দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোতে স্থানীয় আবহাওয়া ও প্রশাসনিক বিবেচনায় ছুটির নির্ধারিত হবে।
তীব্র গরম থেকে ছাত্রছাত্রীদের রক্ষা করতে রাজ্যগুলোর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। দেশের প্রায় সর্বত্র স্কুলছুটির এই দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্রাম ও পুনরুজ্জীবনের সুযোগ এনে দেবে। এখন দেখার, বাকি রাজ্যগুলি কী সিদ্ধান্ত নেয় এই পরিস্থিতিতে।