পরিবেশ রক্ষা ও স্বনির্ভরতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা ও পেশায় আইনজীবী অভিজিৎ সামন্ত। কাজের চাপে দিনভর ব্যস্ত থাকলেও, অবসর সময় কাটে তার ছাদ বাগানে। যেখানে ফলছে মিয়াজাকি আম, হিমাচল প্রদেশের আপেল, আনারস, চেরি, নাশপাতি ও আঙ্গুর সহ একাধিক মূল্যবান ফল।

আইনজীবী অভিজিৎ সামন্তের বাড়ির ছাদ আজ এক অপূর্ব ফলের বাগানে পরিণত হয়েছে। শুধু শখের বসে নয়, পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে গাছ লাগানো শুরু করেছিলেন তিনি। সেই শখ আজ রূপ নিয়েছে সোনালী বিপ্লবে। বর্তমানে তার ছাদে উৎপাদিত মিয়াজাকি আমের বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা।
শুধু ফল উৎপাদনই নয়, তিনি যুব প্রজন্মকে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তাও দিচ্ছেন। তার মতে, বাড়ির ছাদ বা পড়ে থাকা জমিতে পরিকল্পিতভাবে ফলের গাছ লাগালে, তা থেকে অর্থনৈতিক উপার্জনের সুযোগও তৈরি হতে পারে।
হিমাচল প্রদেশ থেকে সংগ্রহ করা আপেলের গাছ এখন মেদিনীপুরের মাটিতেই ফল দিচ্ছে। এই চাষ প্রমাণ করছে, যত্ন ও পরিকল্পনা থাকলে দেশের মাটিতেও বিদেশি ফল চাষ সম্ভব।

অভিজিৎবাবু প্রতিদিন নিজের হাতে গাছগুলির পরিচর্যা করেন। তার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবেশবান্ধব এই উদ্যোগ বর্তমান দূষণের প্রেক্ষিতে নিঃসন্দেহে এক অনন্য উদাহরণ।
তিনি জানান, শুধু ছাদ নয়, বাড়ির আশেপাশের ফাঁকা জায়গাতেও গাছ লাগানো গেলে তা পরিবেশ রক্ষা এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষার দুই পথেই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। অভিজিৎ সামন্তের এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।