ভয়ের উড়ান! এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনায় জড়িয়ে ভূতুড়ে রহস্য, হাড়হিম ‘বোয়িং’!

এক সপ্তাহ আগেই আশঙ্কার পূর্বাভাস?

সাম্প্রতিক এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা শুধু মর্মান্তিকই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এমন কিছু অদ্ভূত ও কাকতালীয় ঘটনা, যা শুনলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও গভীর কোনো রহস্য? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্বজুড়ে।

এক সপ্তাহ আগেই আশঙ্কার পূর্বাভাস?

ঘটনাটি আরও রহস্যময় হয়ে উঠেছে যখন দেখা যাচ্ছে, এই দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ আগেই এক জ্যোতিষী এর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। জ্যোতিষী শর্মিষ্ঠা গত ৫ই জুন তাঁর X হ্যান্ডেল (@astro_sharmistha)-এ একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে লিখেছিলেন, “বিমানের জন্য এই সময়টা ভালো, তবে বিমান দুর্ঘটনার যোগ আছে।”

শুধু তাই নয়, গত ডিসেম্বরেও তিনি একই ধরনের পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে ২০২৫ সাল বিমান শিল্পের জন্য ভালো হলেও একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যা ছিল, মৃগশিরা ও আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রভাবে বিমান শিল্পে গতি এলেও সংকটও আসন্ন। কাকতালীয়ভাবে এই পূর্বাভাস কতটা সত্যি হলো, তা ভাবতেই গা ছমছম করে ওঠে।

দুর্ঘটনার ছবি কি আগেই ছাপা হয়েছিল?

সবচেয়ে শিউরে ওঠার মতো ঘটনাটি হলো, যে দিন দুপুরে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেদিন সকালেই নাকি সেই দুর্ঘটনার অবিকল ছবি একটি সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল! গুজরাট থেকে প্রকাশিত ‘মিড-ডে’ পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছিল ‘কিডজানিয়া’ নামের একটি লার্নিং সেন্টারের।

সেই বিজ্ঞাপনে একটি বিমানকে দেয়াল ফুঁড়ে মুখ বের করে থাকতে দেখা যায়। আর দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই যে ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়েছিল, তার একটির সঙ্গে এই বিজ্ঞাপনের ছবির হুবহু মিল ছিল! যদিও এটি নিছকই একটি বিজ্ঞাপন এবং কাকতালীয় ঘটনা, তবু দুর্ঘটনার পর যারা এটি দেখেছেন, তারা রীতিমতো শিউরে উঠেছেন।

ভয়ের উড়ান!

নাইজেরিয়া-ওয়াশিংটন রুটের ‘অশুভ’ ইঙ্গিত?

আলোচনায় উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, এর আগেও বোয়িং বিমানে একই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল, যদিও তা তেমনভাবে সংবাদ শিরোনামে আসেনি। ঘটনাটি ঘটেছিল নাইজেরিয়া-ওয়াশিংটন রুটে একটি বোয়িং ৭৮৭ বিমানে। রাত ১২টা ৩১ মিনিটে যাত্রা শুরুর পরপরই সেটি দ্রুত নীচে নেমে আসতে শুরু করে।

তবে সেই যাত্রায় পাইলটের হাতে পর্যাপ্ত সময় এবং উচ্চতা বেশি থাকায় তিনি সফলভাবে বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে পেরেছিলেন। ওয়াশিংটন না গিয়ে বিমানটি ফিরে এসেছিল। সেই অপ্রকাশিত ঘটনার ছায়া কি এই দুর্ঘটনায় পড়েছে?

‘রাখে হরি মারে কে’ – অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন!

২৪২ জন আরোহীর মধ্যে অলৌকিকভাবে একজনের বেঁচে ফেরা যেন ‘রাখে হরি মারে কে’ প্রবাদটিকে আবারও সত্য প্রমাণ করল। বিমানের ১১এ নম্বর সিটের আরোহী রমেশ বিশ্বাসকুমার কীভাবে যেন অবিশ্বাস্যভাবে প্রাণে বেঁচে গেলেন! এই ঘটনা কি শুধু কাকতালীয়, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো রহস্য?

ইঞ্জিনের ভূতুড়ে কাঁপুনি!

দুর্ঘটনার আগে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। পাইলট বিমান উড্ডয়নের শুরুতেই ইঞ্জিনে এক অদ্ভুত কাঁপুনি লক্ষ্য করেন। তিনি বিষয়টি লক্ষ্য করলেও, প্রশ্ন তোলার বা ব্যবস্থা নেওয়ার সময় পাননি। কারণ ততক্ষণে যা ঘটার, তা ঘটতে শুরু করে দিয়েছে! ইঞ্জিনের এই ‘ভূতুড়ে কাঁপুনি’ কি দুর্ঘটনার এক অশুভ ইঙ্গিত ছিল?

এসব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বোয়িং বিমান এবং এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত রহস্যের কিনারায়। প্রযুক্তিগত ত্রুটি, মানবিক ভুল, নাকি কোনো ‘অশুভ’ শক্তি – কী ছিল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার নেপথ্যে, তা সময়ই হয়তো বলে দেবে। তবে, এই ঘটনাগুলো বিমান দুর্ঘটনাকে নতুন এক রহস্যের মোড়কে ঢেকে দিয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মনে এক গভীর আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

RIma Sinha

Rima Sinha is working as a writer and also as a journalist. she got her bachelor of arts degree from Tripura University. She has also completed Master of Arts in Journalism and mass communication from Chandigarh University.

Recent Posts