কল্পনা করুন—এয়ারপোর্টে ঢুকছেন, কোথাও লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না, পকেট থেকে বার করতে হচ্ছে না পাসপোর্ট বা বোর্ডিং পাস, শুধু একটা মুখ স্ক্যানেই আপনি রেডি টু বোর্ড! হ্যাঁ, এটাই হতে চলেছে ভবিষ্যতের নতুন রীতি।
পুরনো নিয়মকে বিদায় জানাচ্ছে ICAO

আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (ICAO) আনছে এক নতুন যুগের যাত্রা—ডিজিটাল ট্রাভেল ক্রেডেনশিয়াল। মুখের মাধ্যমে শনাক্ত করেই এবার বিমানে ওঠা যাবে, ফোনে থাকা ডিজিটাল আইডিই হবে পাসপোর্ট ও বোর্ডিং পাসের বিকল্প।
ভবিষ্যতের এয়ারপোর্ট কেমন হবে?
আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তি চালু হয়ে যেতে পারে। একবার টিকিট বুক করলেই ফোনে চলে আসবে জার্নি পাস, যার মধ্যেই থাকবে সব তথ্য—পাসপোর্ট ডিটেলস থেকে সিট নম্বর, এমনকি ফ্লাইট সময়ও! আর লাগবে না আলাদা বোর্ডিং পাস।
এক নজরে বড় পরিবর্তনগুলি:
- পাসপোর্ট বা বোর্ডিং পাস আর দেখাতে হবে না
- মুখ স্ক্যান করলেই মিলবে এন্ট্রি
- চেক-ইন লাগেজের ক্ষেত্রেও একবার স্ক্যানেই শেষ, লাইনে দাঁড়িয়ে বারবার চেকিংয়ের প্রয়োজন নেই
- স্মার্ট ও নির্ঝঞ্ঝাট যাত্রার অভিজ্ঞতা, এটি পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রূপান্তর!
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ট্রাভেল টেক সংস্থা Amadeus-এর ডিরেক্টর জানিয়েছেন, “গত ৫০ বছরে এভিয়েশন দুনিয়ায় এমন বড়সড় পরিবর্তন আর আসেনি।”
এখন কী হয়, আর ভবিষ্যতে কী হবে?
বর্তমানে যাত্রীদের বহুবার চেকিং করতে হয়, পাসপোর্ট ও বোর্ডিং পাস দেখিয়ে তবেই নিরাপত্তা ছাড়পত্র মেলে। কিন্তু ভবিষ্যতে স্ক্যানার আপনার মুখ চিনেই জানিয়ে দেবে—“হ্যাঁ, আপনি বৈধ যাত্রী।”
কেন এমন পরিবর্তন?

ICAO-এর মূল লক্ষ্য হলো যাত্রাকে আরও দ্রুত, নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত করা। এই নতুন প্রযুক্তি শুধু সময়ই বাঁচাবে না, বরং যাত্রী ও এয়ারলাইন্স—উভয়ের অভিজ্ঞতাকেই করবে আগের চেয়ে অনেক উন্নত।
ভাবুন তো, এয়ারপোর্টে পা দিতেই মুখ স্ক্যান… আর আপনি সরাসরি বিমানের দিকে! বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি শীঘ্রই বদলে দিতে চলেছে আমাদের ভ্রমণের সংজ্ঞা। কবে বাস্তবে দেখা মিলবে এই প্রযুক্তির? এখন সেটাই দেখার।
আপনার মতামত কী? এই নিয়ম কি আপনার ট্রাভেল লাইফ আরও সহজ করবে? জানান কমেন্টে!