২০২৫ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ১৪ মার্চ, শুক্রবার। যদিও এই গ্রহণটি ভারতে দৃশ্যমান হবে না। তাই, স্বাভাবিকভাবেই ভারতে সুতককালও মানা হবে না। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, চন্দ্রগ্রহণ যেখানে দৃশ্যমান হয়, সেখানেই সুতককাল প্রযোজ্য হয়। যেহেতু এই চন্দ্রগ্রহণটি ভারত থেকে দেখা যাবে না, তাই এখানে সুতককালের কোনো প্রভাব পড়বে না।
চন্দ্রগ্রহণের সময়:
- চন্দ্রগ্রহণ শুরু: ১৪ মার্চ, সকাল ৯টা ২৯ মিনিটে।
- পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ: সকাল ১১টা ৫৬ মিনিটে।
- চন্দ্রগ্রহণ শেষ: দুপুর ৩টে ২৯ মিনিটে।
কোথায় দেখা যাবে?

২০২৫ সালের এই প্রথম চন্দ্রগ্রহণটি আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, পশ্চিম আফ্রিকা-সহ উত্তর ও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে দৃশ্যমান হবে।
সুতককাল কী?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের আগের একটি বিশেষ সময় হল সুতককাল। এই সময়ে কোনো শুভ কাজ করা যায় না।
দোলযাত্রা পালনের সঙ্গে সঙ্গেই হবে ২০২৫ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ, যা আরও এক চমকপ্রদ ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
দোল পূর্ণিমা ২০২৫ :
দোল পূর্ণিমা বা দোলযাত্রা বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। তবে ২০২৫ সালে এই বিশেষ দিনটি পড়েছে ১৪ মার্চ, শুক্রবার। দিনটি মূলত কৃষ্ণকীর্তন, রঙের খেলাধুলা ও ভক্তিপূর্ন দোলযাত্রার মাধ্যমে উদযাপিত হয়। মানুষ তাদের জীবনে আনন্দ ও সুখী হওয়ার জন্য দোলের মাধ্যমে ভগবান কৃষ্ণের উপাসনা করে থাকেন। সারা দেশে এই দিনটি খুবই আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়।
দোলযাত্রা ও চন্দ্রগ্রহণের যুগল মিলন:

এ বছর দোলযাত্রা ও চন্দ্রগ্রহণ একসাথে ঘটছে, যা সাধারণত কম ঘটে থাকে। এর ফলে উৎসবের দিনটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, চন্দ্রগ্রহণের সময়কাল এমনকি বিশেষ পূজা বা ব্রত পালনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। তবে যারা আনন্দ ও উৎসবের জন্য দোলযাত্রা উদযাপন করতে চান, তাদের জন্য চন্দ্রগ্রহণের সময়কালেও শাস্ত্রীয় বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
২০২৫ সালের দোল পূর্ণিমা এবং চন্দ্রগ্রহণের মিলন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য তৈরি করেছে। দোলযাত্রার আনন্দ ও চন্দ্রগ্রহণের ধর্মীয় তাৎপর্য একসাথে উপস্থিত হওয়ায় এটি একটি বিশেষ মুহূর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।