বাবা ভাঙ্গা ছিলেন একজন অন্ধ বলকান সাধু, যিনি তাঁর প্রগাঢ় আধ্যাত্মিক দৃষ্টিশক্তির জন্য পরিচিত। তাঁর বহু ভবিষ্যদ্বাণী, যেমন ৯/১১ হামলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
২০২৫ সাল নিয়েও তিনি একটি চাঞ্চল্যকর ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। তিনি নাকি বলেছিলেন যে ২০২৫ সালে ইউরোপ প্রায় জনশূন্য হয়ে যাবে, এবং ধ্বংসের পর যারা টিকে থাকবে, তারাই কেবল টিকে থাকবে।
আগে এই ভবিষ্যদ্বাণীকে প্রতীকী মনে করা হলেও, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে গ্রহের অবস্থান, বিশ্বব্যাপী সংঘাতের তীব্রতা, এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা দেখে অনেকেই এই ভবিষ্যদ্বাণীকে আর উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিতে জুলাই ২০২৫:
জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকেও জুলাই ২০২৫ মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে গ্রহের কিছু বিশেষ গতিবিধি রয়েছে যা জ্যোতিষীরা “বিপজ্জনক সংকেত” হিসেবে দেখছেন:
বৃহস্পতি অস্ত (৯ জুন-৭ জুলাই ২০২৫): যখন বৃহস্পতি মিথুন রাশিতে অস্ত যায়, তখন নীতি, ধর্ম, প্রজ্ঞা এবং নেতৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় সমাজে দিকহীনতা দেখা দিতে পারে।
শনির বক্রী (১৩ জুলাই-৩০ নভেম্বর ২০২৫): মীন রাশিতে শনি বক্রী হবে। এই অবস্থা ন্যায়বিচার এবং শৃঙ্খলাকে জটিল করে তোলে। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিভ্রান্তি এবং নীতিতে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

মঙ্গলের দিক মিথুন রাশিতে: এর পাশাপাশি, মঙ্গলের দিকও মিথুন রাশিতে থাকবে যা নাকি যুদ্ধের পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে।
জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে, শনি ও বৃহস্পতির এই ধরনের আক্রমণাত্মক অবস্থার সময় যুদ্ধ, নীতির অবনতি এবং ক্ষমতার সংকটের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি ও ভবিষ্যদ্বাণীর সাদৃশ্য :
ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে ঘনীভূত সংঘাত কূটনীতিকদের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সিঁদুরে মেঘ দেখাচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতে বিমান দুর্ঘটনা এবং সেতু ভেঙে পড়ার মতো একের পর এক বিপর্যয় বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলছে।
এই ঘটনাগুলি বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের পূর্বাভাসের সঙ্গে এক স্রোতে বইছে বলে মনে করছেন অনেকে।
তাহলে কি জুলাই ২০২৫ থেকে মানবজাতি এক মহা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে? নাকি এটি শুধুই এক প্রলয়ঙ্করী পরিবর্তনের ইঙ্গিত?