বিশ্বের অন্যতম সুন্দরীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন! লন্ডনের ফেসিয়াল প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ জুলিয়ান ডি সিলভা গ্রিক গাণিতিক নীতি ও মুখের অভিব্যক্তির উপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করেছেন।
এই তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী জোডি কমার। র্যাঙ্কিংয়ে আরও রয়েছেন জেনদায়া, বেলা হাদিদ, আরিয়ানা গ্রান্ডে ও টেইলর সুইফট। তবে দীপিকা পাড়ুকোনের জন্য গর্বের বিষয় হলো, তিনিই একমাত্র ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছেন। দীপিকা পেয়েছেন ৯১.২২ শতাংশ নম্বর এবং তালিকায় তার অবস্থান নবম।
সৌন্দর্যের নির্ণায়ক কী? কীভাবে তৈরি হয় এই তালিকা?

বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুখগুলো চিহ্নিত করতে গোল্ডেন রেশিও বা সোনালী অনুপাত ব্যবহার করা হয়। এটি এক ধরনের গাণিতিক মাপকাঠি, যেখানে মুখের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত নির্ণয় করা হয়। এই প্রাচীন গাণিতিক সূত্র অনুযায়ী, যে মুখের গঠন এই অনুপাতে সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে, তাকে আদর্শ ও সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে নিখুঁত ধরা হয়।
জুলিয়ান ডি সিলভা তার গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন, মুখের নিখুঁত কাঠামো, চোখ, নাক, ঠোঁট এবং চিবুকের মাপ বিচার করেই এই তালিকা তৈরি করা হয়। এই নির্ণায়কের ভিত্তিতেই জোডি কমারকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দীপিকার সৌন্দর্য নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত

দীপিকা পাড়ুকোনের সৌন্দর্য নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলে আসছে। তার তীক্ষ্ণ চোখ, নিখুঁত চোয়াল, সিমেট্রিক্যাল মুখাবয়ব এবং স্বাভাবিক সৌন্দর্য তাকে বলিউডের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী করে তুলেছে। শুধু ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তিনি তার সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতার জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন।
এমন স্বীকৃতি দীপিকার ভক্তদের জন্য নিঃসন্দেহে গর্বের। বলিউডের গ্ল্যামার কুইন দীপিকা আরও একবার প্রমাণ করলেন, সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক নয়, বরং তা এক অনন্য ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসেরও প্রতিফলন।