চিকিৎসা বিজ্ঞানের হার: যেখানে ১৭ জন চিকিৎসক ব্যর্থ, সেখানেই বাজিমাত করল এআই চ্যাটজিপিটি! চার বছরের শিশুর প্রাণ বাঁচাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

চিকিৎসা বিজ্ঞানের হার: যেখানে ১৭ জন চিকিৎসক ব্যর্থ, সেখানেই বাজিমাত করল এআই চ্যাটজিপিটি! চার বছরের শিশুর প্রাণ বাঁচাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

বর্তমান যুগে প্রযুক্তি যেন আশীর্বাদ! আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—এ যেন সেই আশীর্বাদের রাজা! অফিস, পড়াশোনা, বিনোদনের পর এবার চিকিৎসাক্ষেত্রেও নিজের ক্ষমতা দেখাল AI। আর তার প্রমাণ মিলল আমেরিকায়, যেখানে ১৭ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকও যা পারলেন না, তা করে দেখাল OpenAI-এর চ্যাটজিপিটি!

চিকিৎসকরা যখন হাল ছেড়েছিলেন, তখনই এল AI-এর জাদু!

‘চিকিৎসা বিজ্ঞান

চার বছরের অ্যালেক্স নামের এক শিশুর শরীরে ধীরে ধীরে দেখা দিতে থাকে নানা অদ্ভুত লক্ষণ। দাঁতের ব্যথা, ভারসাম্য হারানো, হাঁটার সমস্যা—চিন্তায় পড়ে যান তার বাবা-মা। চিকিৎসকের পর চিকিৎসক দেখানো হলেও মিলছিল না কোনও সঠিক রোগ নির্ণয়। ১৭ জন চিকিৎসক চেষ্টা করেও অ্যালেক্সের সমস্যার মূলে পৌঁছতে পারেননি।

চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ‘মেডিক্যাল কনসাল্টেশন’, তারপরেই চমক!

শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তির সাহায্য নিতে বাধ্য হন শিশুটির বাবা কোর্টনি। ছেলের সমস্ত লক্ষণ, মেডিক্যাল রিপোর্ট, MRI-এর বিশদ তথ্য লিখে দেন চ্যাটজিপিটিকে। আর যা হওয়ার, তাই হলো—মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই AI জানিয়ে দেয়, অ্যালেক্স ভুগছে ‘Tethered Cord Syndrome’ নামক এক বিরল স্নায়বিক সমস্যায়।

এই রোগের ফলে মেরুদণ্ডে সমস্যা দেখা দেয়, শরীরের নানা অংশে প্রভাব পড়ে। এবং দেরি হলে হতে পারত মারাত্মক বিপদ!

চিকিৎসকরা হতবাক! সুস্থ অ্যালেক্স, আনন্দে কোর্টনি

AI-এর পরামর্শ মতো ফের একবার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কোর্টনি। এবারে সঠিক রাস্তায় চিকিৎসা শুরু হয়। আর ধীরে ধীরে অ্যালেক্স পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে! অ্যালেক্সের বাবা নিজেই এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে জানান, “চ্যাটজিপিটি আমাদের পরিবারকে নতুন জীবন দিয়েছে।”

চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ‘মেডিক্যাল কনসাল্টেশন’

কিন্তু সতর্কতাও জরুরি!

এই ঘটনার পর অনেকেই এআই-এর গুনগান গাইলেও, চ্যাটজিপিটিকে ঘিরে বিতর্কও কম নয়। কেউ কেউ বলছেন, এটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে নকল আধার-প্যান কার্ড, উঠছে তথ্যচুরির অভিযোগও। তাই একদিকে যেমন AI ভবিষ্যতের পথ দেখাচ্ছে, তেমনি এর ব্যবহারে চাই সচেতনতা।

তবুও একথা অনস্বীকার্য—আজকের দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শুধু প্রযুক্তি নয়, সময় সময় সে হয়ে উঠছে জীবনের পরম বন্ধু!

RIma Sinha

Rima Sinha is working as a writer and also as a journalist. she got her bachelor of arts degree from Tripura University. She has also completed Master of Arts in Journalism and mass communication from Chandigarh University.

Recent Posts

link to শরীর ভেঙে পড়েছে করণ জোহরের? ভাইরাল ‘অসুস্থ’ চেহারা নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ পরিচালক! জানালেন চমকে যাওয়ার মতো তথ্য
link to যদি থাকে এই রোগ, টক দই খেলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ! সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা, জানুন বিস্তারিত

যদি থাকে এই রোগ, টক দই খেলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ! সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা, জানুন বিস্তারিত

টক দই—বাঙালির ভোজনতালিকার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ! গরমের দিনে ঠান্ডা ঠান্ডা...