মোদী সরকারের আমলে ভারতীয় রেল এক নতুন দিগন্তে পা রেখেছে। উন্নত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে রেলের আধুনিকীকরণ ও যাত্রীদের জন্য বিলাসবহুল যাত্রার সুবিধা তৈরি হয়েছে।
ভারতীয় রেলের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে টিকিট বিক্রি। যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত প্রচারের মাধ্যমে রেল কর্তৃপক্ষ টিকিট বিক্রির উপর জোর দিয়েছে। এর ফলে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলস্বরূপ আয়ও বাড়ে।
এক সময় যাত্রীদের টিকিট কেনার ব্যাপারে সচেতন করতে প্রচার চালাত রেল, কিন্তু এখন সেই প্রচারণা তার লক্ষ্যে পৌঁছেছে।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রেকর্ড আয়ের মুখ দেখেছে ভারতীয় রেল :

২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতীয় রেল রেকর্ড আয়ের মুখ দেখেছে। ওই বছর রেলমন্ত্রক আয় করেছিল ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা, যা আগের বছরের ২.২৩ লক্ষ কোটি টাকার তুলনায় প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা বেশি। এই আয় বৃদ্ধির বড় একটি কারণ ছিল টিকিট বিক্রি।
তবে, শুধু আয় বৃদ্ধি নয়, ভারতীয় রেল তার উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোও সফলভাবে চালু করেছে, যার মাধ্যমে যাত্রীদের সুবিধা এবং আর্থিক লাভও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
রাজধানী এক্সপ্রেস: রেলের আয় বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা :
আয়ের দিক দিয়ে ভারতের রাজধানী এক্সপ্রেস শীর্ষে রয়েছে। বিশেষ করে কেএসআর বেঙ্গালুরু রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুবই লাভজনক। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরুগামী এই ট্রেনটি প্রায় ৫ লক্ষেরও অধিক যাত্রী পরিবহন করেছে এবং এর মাধ্যমে ভারতীয় রেল প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা আয় করেছে।
এই ট্রেনের টিকিট বিক্রি রেলের আয়ের একটি বড় অংশ তুলে দেয়। অন্যান্য রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেন যেমন শিয়ালদহ, ডি এবং কলকাতা শাখাও উল্লেখযোগ্য আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বেঙ্গালুরু শাখার পাশাপাশি অন্যান্য শাখার আয়ও উল্লেখযোগ্য :
রাজধানী এক্সপ্রেসের বেঙ্গালুরু শাখা ছাড়াও, শিয়ালদহ, ডিব্রুগড়, কলকাতা শাখার আয়ও অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ভারতীয় রেলের মূল আয়ের বড় একটি অংশই আসে দেশজুড়ে চলা একাধিক রাজধানী এক্সপ্রেসের মাধ্যমে।
এই ট্রেনগুলি যাত্রীদের বিলাসবহুল এবং সুবিধাজনক যাত্রা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রেলমন্ত্রকের জন্য অমূল্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করছে।
মোদী সরকারের আমলে ভারতীয় রেলের উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণ সবার নজর কেড়েছে। ‘বন্দে ভারত’ থেকে শুরু করে ‘অমৃত ভারত ২.০’ প্রভৃতি নতুন ট্রেনের মাধ্যমে যাত্রীদের জন্য দ্রুতগতি ও বিলাসবহুল যাত্রার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, টিকিট বিক্রি এবং বিভিন্ন রাজধানী এক্সপ্রেসের মাধ্যমে রেলমন্ত্রক তার আয়ের গ্রাফও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। তবে, রেল কর্তৃপক্ষের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই উন্নয়নের সঙ্গে মুনাফা বজায় রাখা এবং যাত্রীদের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করা।