চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিয়ে ১১ কেজি ওজন কমালেন প্রৌঢ়। পড়ে অবাক হ্সাইচ্ছে? কিন্তু এটা সত্যি ঘটনা।
ধারণত ওজন কমাতে কত শত চেষ্টা করেন অনেকেই। কঠিন ডায়েট, তীব্র শরীরচর্চা… তাও যেন ফলাফল অধরা থেকে যায়। কিন্ত এবার সম্পূর্ণ অবাক করা এক ঘটনা সামনে এল।
৫৫ বছর বয়সে যখন নিজের ৯৫ কেজি ওজন নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পেশায় ইউটিউবার কোডি ক্রোন, তখন তাঁকে পথ দেখাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। চ্যাটজিপিটির তৈরি একটি নিখুঁত ‘ডায়েট প্ল্যান’ মেনে মাত্র দেড় মাসেই তিনি কমিয়ে ফেললেন ১১ কেজি ওজন।
কোডি ক্রোন প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমের একটি শহরে স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন। ক্রমবর্ধমান ওজন তাঁর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে তিনি সিদ্ধান্ত নেন চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেবেন।
তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে তাঁর দৈনন্দিন জীবন, কাজের ধরন এবং ওজন কমানোর লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন। এর ভিত্তিতেই চ্যাটজিপিটি তাঁকে একটি বিস্তারিত এবং সময়-ভিত্তিক ডায়েট প্ল্যান তৈরি করে দেয়।
নিয়ম মেনে চ্যাটজিপিটির ডায়েট প্ল্যান অনুযায়ী জীবনযাপন :
কোডির এই রূপান্তরের পেছনে ছিল কিছু সাধারণ, কিন্তু খুবই কার্যকর নিয়ম। চ্যাটজিপিটির দেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনি প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৪টেয় ঘুম থেকে উঠতেন। সকালের কাজ সেরে ভোর ৬টা থেকে জিমে যেতেন এবং সপ্তাহে ৬ দিন, প্রায় দেড় ঘণ্টা করে শরীরচর্চা করতেন।
তাঁর খাবারের তালিকায় ছিল কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম। দিনে মাত্র দু’বেলা ভারী খাবার খেতেন তিনি। এই দুই বেলার খাবারের মাঝে ছিল দীর্ঘ বিরতি, যে সময় তিনি পুরোপুরি উপবাস করতেন। এর পাশাপাশি, তিনি প্রতিদিন ৪ লিটার জল পান করতেন, তবে সন্ধ্যা ৬টার পর আর কোনও জল পান করতেন না।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই ডায়েট শুধু খাবার বা শরীরচর্চার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। চ্যাটজিপিটি তাঁকে সঠিক ঘুমের গুরুত্বও বুঝিয়েছিল। কোডি প্রতিদিন রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেন এবং ঘুমোনোর এক ঘণ্টা আগে তিনি সব ধরনের স্ক্রিন টাইম থেকে দূরে থাকতেন—ফোন বা ল্যাপটপ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতেন।
ফলাফল অভাবনীয় :
কোডি এই পরিকল্পনাটি কঠোরভাবে ৪৬ দিন ধরে মেনে চলেন। ফলাফল ছিল অভাবনীয়! একসময় তাঁর ওজন ছিল ৯৫ কেজি, এখন তা কমে হয়েছে মাত্র ৮৪ কেজি। অর্থাৎ, মাত্র দেড় মাসে তিনি কমিয়েছেন ১১ কেজি।
এই ঘটনার দ্বারা কোডি ক্রোন প্রমাণ করে দিয়েছেন যে সঠিক পরিকল্পনা এবং দৃঢ় সংকল্প থাকলে ওজন কমানো অসম্ভব নয়। আর এই ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গী হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি, যা সঠিক নির্দেশনা দিয়ে তাঁকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। কোডির এই সাফল্য এখন বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে, যারা ওজন কমানোর জন্য নতুন উপায় খুঁজছেন।