মঙ্গলে ছিল মানুষ? হার্ভার্ড বিজ্ঞানীর বিস্ফোরক দাবি—পরমাণু যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেছে প্রাচীন মানবসভ্যতা!

মঙ্গলের লাল রং কী শুধু লোহিত মরিচার জন্য? না এর পেছনে লুকিয়ে আছে ধ্বংসের ইতিহাস!

একটা সময় ছিল, যখন আমরা ভাবতাম পৃথিবীই একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহ। কিন্তু যতই সময় গড়াচ্ছে, ততই খুলছে মহাজাগতিক রহস্যের পর্দা। এবার চরম বিস্ফোরণ ঘটালেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ডঃ জন ব্র্যান্ডেনবার্গ! তাঁর দাবি, মঙ্গলে একসময় গড়ে উঠেছিল আস্ত মানবসভ্যতা, যা পরমাণু যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেছে—এবং এই ধ্বংসের পেছনে রয়েছে ভিনগ্রহীদের হাত!

মঙ্গলের লাল রং কী শুধু লোহিত মরিচার জন্য? না এর পেছনে লুকিয়ে আছে ধ্বংসের ইতিহাস!

২০১১ সালেই ডঃ ব্র্যান্ডেনবার্গ বলেছিলেন, মঙ্গলের রঙ এমন লাল হতো না যদি সেখানে একসময় Thermonuclear বিস্ফোরণ না ঘটত। তাঁর গবেষণায় উঠে আসে মঙ্গলগ্রহের মাটিতে Xenon-129, ইউরেনিয়াম, এবং থোরিয়াম-এর উপস্থিতি, যা হুবহু মেলে পৃথিবীর পরমাণু কেন্দ্রের উপাদানের সঙ্গে!

NASA-র চোখ এড়িয়ে গেছে ভিনগ্রহীদের হামলার চিহ্ন?

NASA-র চোখ এড়িয়ে গেছে ভিনগ্রহীদের হামলার চিহ্ন?

মঙ্গলের Cydonia অঞ্চলে কিছু পাথুরে কাঠামো পাওয়া গেছে, যেগুলোর মধ্যে নাকি মানুষের মুখের ছাপ, এমনকি পিরামিডের মতো গঠন রয়েছে। NASA যদিও একে “দৃষ্টিবিভ্রম” বলেই উড়িয়ে দিয়েছে, কিন্তু ডঃ ব্র্যান্ডেনবার্গ জোর দিয়ে বলেন, এই চিহ্নগুলো প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন!

CIA-র গোপন মঙ্গল মিশন! ১৯৮৪ সালে কী হয়েছিল?

এই দাবিতে আরও আগুন ঢেলেছেন দার্শনিক ও কল্পবিজ্ঞান লেখক জেসন রেজা জোরজানি। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৮৪ সালে CIA এক ‘গোপন প্রকল্পে’ এক ব্যক্তি (Joe McMoneagle) কে মনরো ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গলে নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছিল! “Mars Exploration: May 22, 1984” নামের সেই রিপোর্টে উল্লেখ আছে, মঙ্গলে একসময় গড়ে উঠেছিল উন্নত সভ্যতা, যা কোনো দুর্যোগ বা আক্রমণে ধ্বংস হয়ে যায়। ২০১৭ সালে সেই রিপোর্ট ফাঁস হলে ফের চাঞ্চল্য ছড়ায়।

মঙ্গলে Xenon-129: নিছক কাকতালীয়? নাকি আসল প্রমাণ?

জেসনের মতে, Xenon-129 একটি স্থিতিশীল গ্যাস, যা পরমাণু বিস্ফোরণের পর পাওয়া যায়। সৌরজগতের প্রায় সব গ্রহেই একে স্বাভাবিক হারে পাওয়া গেলেও, মঙ্গলে এর পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেশি! এটা নিছক কাকতালীয় নয়, বরং একসময় ঘটেছিল ভয়াবহ পরমাণু যুদ্ধ—এমনটাই দাবি গবেষকদের।

মিশরীয় সভ্যতা ও মঙ্গলের সংযোগ!

ব্র্যান্ডেনবার্গ দাবি করেন, মঙ্গলের সভ্যতা ছিল পৃথিবীর মিশরীয় সভ্যতার মতো। এমনকি মিশরের পিরামিড আর মঙ্গলের Cydonia অঞ্চলের কাঠামোর মধ্যে আশ্চর্য মিল রয়েছে! তাহলে কি প্রাচীন মিশরের মানুষই মঙ্গল থেকে এসেছিল?

মিশরীয় সভ্যতা ও মঙ্গলের সংযোগ!

বিজ্ঞান না কল্পবিজ্ঞান?

যদিও এখনও এসব তথ্যের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মেলেনি, তবে এই দাবিগুলো নতুন আলোচনার দরজা খুলে দিয়েছে। মঙ্গল কি শুধুই এক উষর মরুভূমি? নাকি তার বুকেই লুকিয়ে আছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এক প্রাচীন সভ্যতার কান্না?

আপনার কী মত? মঙ্গলে সত্যিই কি একসময় মানুষ ছিল? পরমাণু যুদ্ধে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল সভ্যতা? নাকি এটা নিছকই বিজ্ঞান কল্পনা?

কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না!
এই তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদনের লিঙ্ক বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন, ও জানতে দিন—মঙ্গল নিয়ে সত্যিটা কতটা বিস্ফোরক!

RIma Sinha

Rima Sinha is a professional journalist and writer with a strong academic background in media and communication. She holds a Bachelor of Arts from Tripura University and a Master’s degree in Journalism and Mass Communication from Chandigarh University. With experience in reporting, feature writing, and digital content creation, Rima focuses on delivering accurate and engaging news stories to Bengali readers. Her commitment to ethical journalism and storytelling makes her a trusted voice in the field.

Recent Posts