২০২৫ সালের জন্য সেরা মোবাইল প্রসেসর বাছাই করা বেশ কঠিন, কারণ এই মুহূর্তে বাজারে উপলব্ধ প্রসেসরগুলি মূলত ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত, প্রসেসর নির্মাতারা তাদের নতুন জেনারেশনের প্রসেসরগুলি বছরের শেষ দিকে অথবা পরের বছরের শুরুতে প্রকাশ করে থাকে। সেই কারণে, ২০২৫ সালের সেরা প্রসেসর কোনটি হবে, তা বলা এখনও সম্ভব নয়।
তবে, কিছু সূত্র এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জন্য সম্ভাব্য সেরা কিছু প্রসেসর হতে পারে:

- কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন: কোয়ালকম তাদের নতুন জেনারেশনের স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর নিয়ে কাজ করছে, যা সম্ভবত আরও উন্নত কর্মক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসবে।
- মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি: মিডিয়াটেকও তাদের নতুন ডাইমেনসিটি সিরিজের প্রসেসর তৈরি করছে, যা উন্নত প্রযুক্তি ও বৈশিষ্ট্য যুক্ত হতে পারে।
- অ্যাপল বায়োনিক: অ্যাপল তাদের নতুন আইফোনগুলির জন্য নতুন বায়োনিক চিপ তৈরি করবে, যা সম্ভবত আরও শক্তিশালী এবং কার্যকরী হবে।
এছাড়াও, আরও কিছু নতুন প্রসেসর নির্মাতারাও তাদের উন্নত প্রসেসর নিয়ে বাজারে আসতে পারে।
বর্তমানে বাজারে কিছু শক্তিশালী এবং আধুনিক মোবাইল প্রসেসর রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

- অ্যাপেল এ১৬ বায়োনিক (Apple A16 Bionic): এটি আইফোন ১৪ প্রো এবং ১৪ প্রো ম্যাক্সে ব্যবহৃত হয়েছে। এই প্রসেসরটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং দ্রুতগতির জন্য পরিচিত।
- কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ (Qualcomm Snapdragon 8 Gen 2): এটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য একটি জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী প্রসেসর। এটি বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ ফোনে ব্যবহৃত হয়।
- মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯২০০ (MediaTek Dimensity 9200): এটিও একটি শক্তিশালী প্রসেসর যা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যবহৃত হয়। এটি গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য ভালো।
- গুগল টেন্সর জি২ (Google Tensor G2): এটি গুগল পিক্সেল ৭ এবং ৭ প্রো ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে। এই প্রসেসরটি মূলত মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য তৈরি।
এই প্রসেসরগুলো তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে খুবই শক্তিশালী এবং আধুনিক। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী, আপনি এইগুলোর মধ্যে থেকে পছন্দের প্রসেসর বেছে নিতে পারেন।